১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০৭

স্বাবলম্বী হতে নানা উদ্যোগ

প্রতিদিন ডেস্ক

স্বাবলম্বী হতে নানা উদ্যোগ

ড্রাগন চাষে সফল চম্পা বেগম

স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেশের তরুণ-তরুণীরা নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। কেউ কৃষি খাতে, কেউবা ইউটিউবে। সফলদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন আরও অনেকে। সফল উদ্যোক্তা তরুণ-তরুণীদের নিয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধিরা।

বগুড়া : ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির মিজানুর রহমান মিঠু। প্রায় আট বিঘা জমিতে তিনি এ ফল চাষ করেছেন। দুই বছরে তিনি বিক্রি করেছেন ২৫ লাখ টাকার ফল। ভাগ্য বদলে সফল এই ড্রাগন চাষি এখন এলাকার বেকার তরুণ-তরুণীদের আইডল। মিঠুর কাছ থেকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ভাগ্য বদলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। সারিয়াকান্দি কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, ড্রাগন চাষে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি অফিস থেকে নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। তার বাগানে বেশকিছু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মিজানুর রহমান মিঠু জানান, তার সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এলাকার কিছু যুবক।

নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রামের শাহেদুল আলম শাহেদ (২৪)। শখের বশে তিনি শুরু করেছিলেন কন্টেন্ট তৈরি ও তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা। তিনি ইউটিউবে খোলেন একটি চ্যানেল। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। শর্ট ড্রামা ও শর্ট ফিল্ম তৈরি করে তা প্রচার করেন ইউটিউবে। এখন তার তিনটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যা থেকে তার মাসে আয় হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। শাহেদের সঙ্গে কাজ করছেন ছয় তরুণ-তরুণী। এ ছাড়া কন্টেন্টগুলোয় অভিনয় করে বাড়তি আয় করছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, গৃহিণীসহ কমপক্ষে ১৫ তরুণ-তরুণী।

যশোর : সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন কয়েক বছর আগে। ১৮ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে ইয়াসিনও অসুস্থ। নিয়মিত রক্তের প্লাজমা দিতে হয় তাকে। সংসারে সব ভার এসে পড়ে যশোর সদর উপজেলার বানিয়ালী গ্রামের এনামুল হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগমের কাঁধে। ২০২০ সালে বাজারে গিয়েছিলেন অসুস্থ ছেলের জন্য ড্রাগন ফল কিনতে। ৫০০ টাকা কেজি দাম শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তার মনে উদয় হয় নতুন চিন্তা। দুটি ড্রাগন চারা সংগ্রহ করে বাড়িতে রোপণ করেন। গাছ ঠিকঠাক মতো বড় হচ্ছে দেখে যশোর হর্টিকালচার সেন্টার থেকে আরও ২০টি চারা সংগ্রহ করেন। এরপর ১৬ শতক জমিতে লাগান চারা। চম্পা বেগম জানান, গত বছর আড়াই লাখ টাকারও বেশি ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন তিনি। খরচ তো উঠেছেই, লাভও করেছেন ভালো। চলতি বছর আরও ১৭ শতক জমিতে নতুন করে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। লক্ষাধিক টাকার ফল ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়েছে। লক্ষাধিক টাকার ফল এখনো আছে। এর মধ্যেই আবার গাছে নতুন ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে।

সখীপুর (টাঙ্গাইল) : ঢাবি শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের সখীপুরের মাহফুজ তালুকদারের শখের ড্রাগন বাগান। ৩৩ শতাংশ জমিতে নয় শতাধিক ড্রাগন গাছ লাগিয়ে এ বছর প্রায় ২ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন তিনি। উপজেলার কালিয়া জামাল হাটকুড়া এলাকায় তার ড্রাগন বাগান। ঢাবির কেমিস্ট্রির শিক্ষার্থী মাহফুজ বলেন, মানুষকে কেমিক্যাল ও ফরমালিনমুক্ত ফল খাওয়াব, এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য।

এ বছর প্রায় দেড় লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছি। গাছ বড় হচ্ছে, আশা করছি আগামী বছর আরও বেশি টাকা বিক্রি করব। সরেজমিন দেখা যায়, দুই বছর বয়সী বাগানে কাঁচা ও পাকা ড্রাগন ফল ঝুলছে। প্রতিটি ড্রাগন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর