১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৪:৩৬

জনপ্রিয় হচ্ছে ‘আদর্শ বীজতলা’

দিনাজপুর প্রতিনিধি

জনপ্রিয় হচ্ছে ‘আদর্শ বীজতলা’

প্রযুক্তির সহায়তায় দিনাজপুরে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি। এতে লাভবান হচ্ছেন এলাকার উদ্যমী কৃষক। কৃষিক্ষেত্রে যোগ হওয়া এমনই এক প্রযুক্তি আদর্শ (কমিউনিটি) বীজতলা। শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারা পেতে কৃষকরা ঝুঁকেছে আদর্শ বীজতলা তৈরিতে। তাই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে জেলার ঘোড়াঘাট, বিরল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বীজতলা তৈরী ও চাষে কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আদর্শ বীজতলা তৈরিতে ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ কমে যায়। 

এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন উপজেলায় ইরি-বোরো ধান রোপণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আদর্শ (কমিউনিটি) বীজতলা। এখন শীতের কবল হতে রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।

কৃষি অফিস জানায়, সনাতন পদ্ধতির চেয়ে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে শ্রম, স্থান, সেচ খরচও কম লাগে এবং ভালো মানের চারাও পাওয়া যায়। তাই ফলনও ভালো পাওয়া যায়। আদর্শ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমে শুকনা জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়। জমি প্রস্তুত হলে ১ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রতি বেডের মাঝে ৫০ সে. মি. নালা রেখে বীজতলা তৈরী করতে হবে। মানসম্মত বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় ছিঁটিয়ে হয়। বীজ ছিঁটানোর ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।

ঘোড়াঘাটের পালশা ইউপির কৃষক আবু তাহের, মশিউর রহমান, ফারুক হোসেন, মেহেদী হাসান বলেন, সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদন, বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলা করতে ও কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় আমরা পুরোনো পদ্ধতির পরিবর্তে আদর্শ বীজতলা তৈরি করেছি। 

বিরল কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, আদর্শ বীজতলায় স্বল্প খরচে সুস্থ-সবল চারা উৎপাদন ও কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কম থাকে। আদর্শ বীজতলায় দ্রুত সেচের পানি নিষ্কাশন করা যায়। সহজে আলো-বাতাস চলাচল করে। চারার শিকর সহজে মাটতে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করে। পরিচর্যা করাও সহজ হয়। চারা সতেজ ও পুষ্ট হয় এবং ফলনও ভাল হয়।
 
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, ঘোড়াঘাটের ১টি পৌরসভা চারটি ইউনিয়নে ৯ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমাণ জমির জন্য ৪৭৬ হেক্টর বীজতলার প্রয়োজন। এরমধ্যে আদর্শ বীজতলার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ হেক্টর। তিনি আরও বলেন, কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলা রক্ষা করতে জমিতে পলিথিন ব্যবহারসহ রাতে পানি দিয়ে সকালে বের করে দিতে হবে।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর