১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৩:১০

সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

নীলফামারী প্রতিনিধি

সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত। এ যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে অপরূপ রূপে আকাঁ হলুদের আলপনায় চোখ জুড়ানো দৃশ্য।মাঠে মাঠে হলুদ বরণ সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মৌমাছিরাও মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

নীলফামারী জেলায় ৮৬৭২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে আর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৭৭ মেট্রিক টন। বীনা-৯, টরি-৭, বারী-১৪, বারী-১৭ ও বারী-১৮ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে এই জেলায়। জেলা শহরের কন্দুপুকুরের কাচারীপাড়ায় গড়ে উঠেছে সরিষা গ্রাম। ১৫৬ জন কৃষক এখানে ৪২২ বিঘা জমিতে করেছেন সরিষা চাষ। 
উৎপাদন খরচ কম, ভালো ফলন, বাজার দর ভালো পাওয়ার সাথে সরকারী নানা সহায়তায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নীলফামারীতে সরিষার আবাদ। সরিষার পাশাপাশি একই জমিতে আউস, আমন ও বোরো আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এরফলে অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষমতা বাড়ছে তাদের। 
বহুমুখী ব্যবহারের সাথে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। বিঘাপ্রতি ৬-৭ মণ ফলন, ২ হাজার ৮শ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন।

কৃষকেরা জানান, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনা উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। এর কারণে এতে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করছে। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারচ্ছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪০ ভাগ ভোজ্য তেলের আমদানি কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সরিষার ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়ে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর