শিরোনাম
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০২:১৮

শীত মৌসুমেও কাপ্তাইয়ে মাছের বাম্পার আহরণ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

শীত মৌসুমেও কাপ্তাইয়ে মাছের বাম্পার আহরণ

ফাইল ছবি

শীত মৌসুমেও রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার আহরণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের রাজস্ব আদায় হয়েছে দ্বিগুণ। মাত্র ১৩৫ দিনে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করা হয় প্রায় ৫ হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসরাফুল আলম ভূঁইয়া। তিনি আরও বলেন, এভাবে মাছ উৎপাদন অব্যাহত থাকলে এ বছর রাজস্ব আয় অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিএফডিসির পরিসংখ্যা মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। যা দেশের মিঠাপানির মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এই কাপ্তাই হ্রদকে রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মহালছড়ি, মারিশ্যা- এই চারটি জোনে বিভক্ত করে মাছ আহরণ করা হয়।

এবার রাঙামাটি সদর থেকে মাছ আহরণ হয় ১০ হাজার ২১২ মেট্রিক টন, কাপ্তাই থেকে ৭৬৭০ মেট্রিক টন, মহালছড়ি থেকে ৮৯৮ মেট্রিক টন ও মারিশ্যা থেকে ৮৫০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়।

এসব মাছের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল চাপিলা, কাচকি, চিংড়ি ও কার্প জাতের মাছ। মাছ রপ্তানি করা হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে সরকারের রাজস্ব খাতে যেমন আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি দেশে মিঠাপানির মাছের চাহিদাও মিটছে। লাভবান হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। এ অঞ্চলে ২৬ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন।
 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর