২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:২৬

ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরের বোরো ধানের বীজতলায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, এ সময়ে বাড়তি যত্ন ও নিয়মিত বালাইনাশক স্প্রে করলে সমস্যা হবে না।  

রফিকুল, গৌতম রায়সহ কয়েকজন কৃষক জানায়, কুয়াশার সাথে কনকনে শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা। এরই মধ্যে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের বীজতলায় চারার গোড়া এবং পাতা পচে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকেও ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আবার কারো শীত ঘুনকুয়াশায় আর আকাশে সূর্য দেখা না মেলায় বোর ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রে করেও সুফল মিলছে না। এ ছাড়াও শীতে আলু খেতে মড়ক ধরেছে। টমেটোর গাছও মরে যাচ্ছে। বালাইনাশক স্প্রে করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ফসলের পরিচর্যা করতে কষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এবার কৃষিতে ক্ষতির সম্মুখীন হব।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের কৃষক জসিম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে আদর্শ বীজতলা তৈরি করেও বোরো ধানের চারা হলুদ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় রাতের বেলায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছি। তারপরও শীত ও ঘন কুয়াশা কারণে বীজতলা কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।

বিরল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানায়, টানা শৈত্যপ্রবাহ অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আর ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলা হলুদ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বীজতলা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কৃষকদের সঠিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি বোরো ধানের বীজতলা খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কৃষকরা বোরো ধান লাগানোর জন্য জমি তৈরি করছে দ্রুত চারা রোপণ হলে আর সমস্যা হবে না।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য বীজতলা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৫৭৯ হেক্টর জমিতে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর