২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৩:০২

ভাসমান বেডে সবজির সমাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ভাসমান বেডে সবজির সমাহার

পুকুরের মাঝে সারি সারি বেডে ভাসছে নানা জাতের সবজি ও মসলা। টম্যাটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, করলা, মিষ্টি আলু থেকে শুরু করে কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, আদা সবই আছে ভাসমান বেডে। রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে দেখা যাবে এমন দৃশ্য। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, কচুরিপানা কাজে লাগিয়ে জলাবদ্ধ জমিতে সারা বছর সবজি ও মসলা চাষ করা সম্ভব। পরীক্ষামূলক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হওয়ায় ভাসমান বেডে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জলাভূমিতে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ জনপ্রিয়করণের জন্য কৃষককে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা। গবেষণা সফল হওয়ায় অব্যবহৃত জলাভূমিতে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। স্বল্প খরচে পুকুর, ডোবা বা জলাশয়ে ভাসমান বেডে নিরাপদ উপায়ে ১২ মাস সবজি ও মসলা উৎপাদন করতে পারবেন। ঝালকাঠি, বানারীপাড়া, উজিরপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। ভাসমান কৃষি প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার জানান, কচুরিপানা আপদ্। সে আপদ্ কাজে লাগিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভাসমান বেডে সারা বছর সবজি ও মসলা চাষ করা সম্ভব। এতে কৃষক উপকৃত হবে। পূরণ হবে খাদ্য ঘাটতি। বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমলচন্দ্র কুণ্ডু জানান, ভাসমান বেডে চাষাবাদে কৃষকের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে তারা সফল হয়েছেন। এ কারণে ভাসমান বেডে চাষাবাদ কৃষকের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদলচন্দ্র বিশ্বাস জানান, দক্ষিণাঞ্চলে জলাভূমিতে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কচুরিপানা ও আবর্জনা ব্যবহার করে ভাসমান পদ্ধতিতে ১২ মাস সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন সম্ভব।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ‘আগামীতে কৃষিতে জলাবদ্ধতা, খরা, লবণাক্ততাসহ অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে। সেসব মোকাবিলা করেই এ অঞ্চলে কৃষি এগিয়ে নিতে হবে।’


বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর