৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:০৮

কুষ্টিয়ায় কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে পিয়াজের দাম

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে পিয়াজের দাম

কুষ্টিয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা। জানুয়ারির মাঝামাঝি যে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, সেসব পিয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পিয়াজের আমদানি কমতে থাকায় দাম বেড়েছে। আর দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃষকদের হাত রয়েছে বলছে কৃষি বিপণন বিভাগ। বাজার কমতির দিকে গেলেই তারা পিয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখছেন। আবার দাম বাড়লে তখন বাজারে আনছেন।

মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা-পাইকারি মিলিয়ে পিয়াজের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে। চাল, সবজি, মাছ-মাংস ও ডিমের পর পিয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি আরও চাপ বাড়িয়েছে ক্রেতাদের।

বাজারের পাইকারি বিক্রেতা শাহিন বলেন, এক সপ্তাহ আগেও মূল কাটি পিয়াজের আমদানি অনেক ছিল। তখন সবাই তুলতেছিল। আস্তে আস্তে এই পিয়াজের আমদানি কমে গেছে। যারা তুলতেছিল, তাদের বিক্রিও প্রায় শেষ। এ বছর মূল কাটি পিয়াজের ফলনও কম হয়েছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

তিনি বলেন, মূল কাটি পিয়াজ বিঘাতে ৮০ থেকে ১০০ মণ উৎপাদন হয়। সে তুলনায় এবার ফলন কম হয়েছে। তবে, পিয়াজের বাজার এর চেয়ে আরও বৃদ্ধির কোনো কারণ দেখছেন না শাহীন। তিনি বলছেন, বাজারে মোটামুটি পিয়াজ আছে। ঘাটতি নেই। বাজার খুব বেশি বাড়বে না। সামনে দানা পিয়াজ উঠলেই বাজার কমে যাবে।

এ সময় বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল কাইয়ূম বলেন, বাজারে আসলেই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ার খবর পাই। গতবার যে পিয়াজ কিনলাম ৬২ টাকায়, সেই পিয়াজ এখন ৮০ টাকা। বাজার মনিটরিং না থাকায় এভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, পিয়াজের ফলন কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কমলাপুরের আরাফাত বলেন, বাড়তি দাম পেতে কৃষকরা এবার আগেভাগেই ছোট ছোট পিয়াজ তুলে বিক্রি করেছেন।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, পিয়াজের দামবৃদ্ধির পেছনে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, কৃষকরাও ভূমিকা রাখছেন। বাজার কমতির দিকে গেলেই তারা পিয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখছেন। আবার দাম বাড়লে তখন নিয়ে আসছেন বাজারে। কৃষকদের এ দুষ্টুমি এবার দামবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সুজাত হোসেন বলেন, এক কেজি পিয়াজ উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় ২৫ থেকে ২৮ টাকা। সেখানে কৃষক ৪০ টাকা বিক্রি করলেও বেশ ভালো মুনাফা পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের মুনাফাসহ ভোক্তাদের কাছে ৪৫-৫০ টাকায় পিয়াজ পৌঁছানো সম্ভব ছিল। এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকার আবারও পিয়াজ আমদানির পথে হাঁটবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর