১১ মার্চ, ২০২৪ ২০:০৯

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ, উৎসুক জনতার ভিড়

ভাঙ্গা প্রতিনিধি :

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ, উৎসুক জনতার ভিড়

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ দেখা গিয়েছে। বাঘটি দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফরিদপুর বনবিভাগের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও বাঘটি আটকাতে সক্ষম হয়নি। 

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার একটি রেইনট্রি গাছে বাঘটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহূর্তেই খবরটি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। 

দুপুর ১ টার দিকে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড - পূর্ব সদরদী বড় ঘাট আঞ্চলিক সড়কে ৩০০ গজ পূর্ব দিকে এগিয়ে  ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষের ভিড়। সকলের দৃষ্টি একটি রেইনট্রি গাছের ডালের দিকে। দেখা যায় রেইনট্রি গাছের ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উচ্চতায় গাছের দুই ডালের ফাঁকে বাঘটি রয়েছে। গাছের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে বাঘটির পেছনের অংশ দেখা যায়। বাগানের ভিতরে নেমে সড়কের বিপরীত পাশে দাঁড়ালে বাঘটির মুখের অংশ দেখা যায়। সাধারণ মানুষের ধারনা বাঘটি দুই ডালের ফাঁকে আটকা পড়েছে। যে কারণে নড়াচড়া করছে না। বিকাল ৪ টার দিকে ফরিদপুর বনবিভাগের একটি দল খবর পেয়ে বাঘটিকে আটকাতে দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়ি কামরুল শেখ (৪২) এর। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আমি প্রথম মেছো বাঘটি দেখতে পাই। এরপর স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন ছুটে আসে। বাঘটি ছিলাধরচর মহল্লার মরহুম হাসেম সাহেবের বাগানের রেইনট্রি গাছে রয়েছে। 

এলাকার বাসিন্দা রমজান সিকদার বলেন, বাঘটি দেখার পরেই আমি ভাঙ্গা দমকল বাহিনীকে জানাই। তারা বনবিভাগকে জানানোর পরামর্শ দেয়। এরপর ফরিদপুর বনবিভাগকে জানাই। খবর পেয়ে বিকাল ৪ টার দিকে বনবিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে বাঘ আটকানোর কাজে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তারা আটকাতে পারেনি। 

উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করতে আসা ফরিদপুর বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসের বনপ্রহরী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটি বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ। আমরা প্রথমে গাছে ওঠে বাঘটি আটকানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় গাছে উঠে যায়। চেষ্টা করে এত উপর থেকে বাঘটি আটকাতে সক্ষম হইনি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর