৪ মে, ২০২৪ ১৬:১৭

হাড়িভাঙ্গায় স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

হাড়িভাঙ্গায় স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এই অবস্থায় রংপুর ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙ্গা আম রক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।  সম্প্রতি হাড়িভাঙ্গা আম জিআই সনদ পাওয়ায় এই আমের চাহিদা বিগত বছরের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করছেন চাষিরা।

এ ছাড়াও বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রধানকে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠিয়েছিলেন। এতে হাড়িভাঙ্গা আমের সুখ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়ে। এবার আমচাষি এবং যারা বাগান লিজ নিয়েছেন, তারা ভালোভাবে আম পরিচর্যা করছেন। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এই আম বাজারে পাওয়া যাবে।

কৃষি অফিসের মতে, হাড়িভাঙ্গা আম গাছ থেকে পারা শুরু হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে নির্ধারিত সময়ের সপ্তাহখানেক আগেও বাণিজ্যিকভাবে এই আম বিক্রি করতে পারবে আম চাষিরা। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবে হলে শুধু হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছে কৃষি অফিস।

শ্যামপুর এলাকার আমচাষি মানজারুল ইসলাম বলেন, গরমে আমের তেমন একটা ক্ষতি না হলেও আমরা সব সময় আমগাছ পরিচর্যা করছি। যাতে আমের ফলন বিপর্যয় না হয়। বর্তমানে আমের বয়স প্রায় ৩ মাস হয়েছে। আর দেড় মাসের মধ্যে আম ঘরে তুলতে পারব।

রংপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাড়িভাঙ্গার ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে সব প্রজাতির আমের ফলন হয়েছিল গড়ে ৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন।  হাড়িভাঙ্গার উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে প্রায় ১২ টন। এবার আশা করা হচ্ছে গতবছরের চেয়ে ফলন বেশি হবে। সেই হিসেবে শুধু হাড়িভাঙ্গা উৎপাদন হতে পারে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম থাকলে প্রতি কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, গরমের কারণে আমের ক্ষতি হয়নি।  দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাড়িভাঙ্গা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর