এবারের বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর রেকর্ড ফলন হয়েছে। গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার দক্ষিণ বোড়াশী গ্রামের কৃষক ওসমান মোল্লার জমিতে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষে বিঘাপ্রতি ৩৬ মণ ফলন হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি ফলন দাড়ায় সাড়ে দশ (১০.৫) টন। এছাড়া এই ধানের গাছ খাটো জাতের, শক্ত এবং রোগবালাই সহিষ্ণু। এতে সার ও সেচ অত্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। কৃষকরা বলছেন, তারা এই ধান চাষে প্রচলিত অন্যান্য ধানের জাতের তুলনায় ফলন বেশি পেয়েছেন এবং উৎপাদন খরচও কম হয়েছে। ফলে এই ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
কৃষক ওসমান মোল্লা জানান, তিনি এ বছর হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল বা উফসি জাতের বেশ কয়েকটি ধানের জাত চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণ সহায়তায় ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষ করে সব চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন। অন্যান্য ধান চাষে তিনি বিঘাপ্রতি ২৮ থেকে ৩২ মণ ধান পেয়েছেন। সেখানে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষে ফলন পেয়েছেন ৩৬ মণ। এই ধান চাষে তিনি বেশি লাভবান হয়েছেন বলে জানান এই কৃষক।
কৃষক ওসমান মোল্লা ছাড়াও দক্ষিন বোড়াশী গ্রামের কৃষক মো: ওমর ফারুক, সাজ্জাদ মোল্লা ও কৃষানী সাদিয়া বেগম ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর চাষ করে রেকর্ড ফলন পেয়েছেন।
তারা জানান, প্রচলিত হাইব্রিড ধান হীরাসহ অন্যান্য হাইব্রিড ও উপসি ধানের তুলনায় ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর ফলন অনেক বেশি। এই ধানের গাছ অনেক শক্ত এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। এছাড়া ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এ চিটা কম হয়। যাতে কৃষক লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, আমরা এবছর যতগুলো ধানের জাতের সম্প্রসারণ করেছি এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যতগুলো হাইব্রিড ধানের জাত রয়েছে তার মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই কৃষকদের মাঝে এই ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ