১ জুন, ২০২৪ ১৯:৪৮

পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় পাতাকপির চাষে চমক

নজরুল মৃধা, রংপুর

পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় পাতাকপির চাষে চমক

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।  তিনি বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত জমিতে বস্তায় হাজারি ফুলকপি চাষ করে এলাকায় সারা ফেলেছেন। প্রতিটি কপি গাছে ৩০ থেকে ৪০টি পাতাকপি ধরেছে। 

এর আগে তিনি বস্তায় বাদাম চাষ করে সারা জাগিয়েছিলেন। বর্তমানে তার বাগানে বস্তায় রয়েছে বাদাম, দই কচু, ডাটা,  মরিচ, আদা ইত্যাদি। চাষের পদ্ধতি দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন তার কাছে আসছেন পরামর্শ নিতে। 

নিজপাড়া গ্রামের মৃত সাহেদ আলী ফকিরের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক আব্দুল মালেক বালাপাড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। নিজের আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে বস্তায় বাদাম চাষ শুরু করেন তিনি। বাদামে সফলতা আসার পরে তিনি পাতাকপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন বস্তায়। এতে তার মোট খরচ হয়েছে ৩০/৪০ হাজার টাকা। তিন মাস আগে পাতাকপির গাছ লাগিয়েছিলেন।  এখন পাতা কপি পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে আত্মীয় স্বজনকে দিচ্ছেন। বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রিও করবেন। 

তিনি আশা করে বলেন, পাতাকপিসহ অন্যান্য ফসলে তিনি ভাল আয় করতে পারবেন। লাভ ভালো হলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে চাষ করবেন। এটি দেখার পরে স্থানীয় অনেক যুবক পরামর্শ নিতে আসছেন এবং যুবকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, সরকারি ভাবে সহযোগিতা পেলে একটি কৃষি পার্ক ও মানসম্মত জাতের সবজির বীজ উৎপাদন করবেন।
 
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, গত বছর তিনি বস্তায় বাদাম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এবার পাতাকপিসহ অন্যান্য ফসল চাষ করেছেন। বস্তায় পাতাকপির চাষ এটা নতুন একটি পদ্ধতি। আমি আগামী সপ্তাহের তার বাগান পরিদর্শনে যাবো। 

তিনি বলেন, বস্তায় এভাবে চাষ করতে চাইলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে। বস্তায় চাষ একটা ভালো প্রযুক্তি, এতে রোগ বালাই কম আক্রমণ করে, ফলনও ভালো হয়। যাদের জমি নেই, শুধু বাসস্থান আছে তারা এই পন্থা ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর