৯ জুন, ২০২৪ ১৬:৫৪

চঞ্চল স্বভাবের সাহেব বুলবুলি

নজরুল মৃধা, রংপুর

চঞ্চল স্বভাবের সাহেব বুলবুলি

ছবি: রানা মাসুদ

পৃথিবীতে অনেক জিনিস মূল্য দিয়ে কেনা গেলেও মায়ের ভালোবাসা পেতে কোনো টাকা লাগে না। মায়ের মমত্ববোধ শুধু মানুষের মাঝে নয় প্রাণি জগতেও রয়েছে। সন্তানের প্রতি মায়ের এই ভালোবাসা অমূল্য। সকল দুঃখ, কষ্টে সীমাহীন নিঃস্বার্থে মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। তেমনি মায়ের ভালোবাসার একটি দুর্লভ চিত্রের দেখা মিলেছে সাহেব বুলবুলি নামে একটি পাখির ক্ষেত্রে। 

গত ৭ জুন রংপুর নগরীর উপকণ্ঠ থেকে পরম যত্নে ছানাদের খাওয়ানোর বেশ কিছু চিত্র ধারণ করেছেন রংপুরের বিশিষ্ট লেখক ও সৌখিন আলোকচিত্রী রানা মাসুদ। তিনি তার ক্যামেরায় তুলে এনেছেন কীভাবে মা তার বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। এই পাখিটির নাম সাহেব বুলবুলি হলেও একে স্বর্গীয় দুধরাজ ও শাহ বুলবুলি বলেও অনেকে ডাকেন। 

শাহ বুলবুিল পাখিটি সম্পর্কে জানা গেছে, এটি মধ্যম আকৃতির প্যারাডাইস বার্ড। এরা দেখতে অনেকটা বুলবুলির মত। কিন্তু এদের লম্বা লেজ দেখে এদের সহজেই চেনা যায়। পূর্ণ বয়স্ক শাহ বুলবুলি ১৯-২০ সে.মি. লম্বা হয়। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ রঙ পরিবর্তন করে সাদা বর্ণ ধারণ করে। মাথা থেকে গলার অংশটা তখন আরও নীলচে কালো দেখায়। মে থেকে জুলাই মাস হলো এদের প্রজননকাল। এরা প্রজননকালে অনেকটা কাপের মতো বাসা তৈরি করে, এর পর স্ত্রী পাখি তিন থেকে চারটি ডিম পাড়ে। ১৪-১৫ দিনেই ডিম ফোটে। মা-বাবা উভয়ই বাচ্চাদের যত্ন করে। বাচ্চারা ১৬ থেকে ১৯ দিনে বড় হয় ও উড়তে শিখে যায়। তিন-চার বছর বয়সে এরা রং বদলে সাদা-কালো হয়ে ওঠে। সাধারণত ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

এই পাখিটির বিষয়ে রানা মাসুদ বলেন, এই পাখি বেশ চঞ্চল স্বভাবের। কোথাও বেশিক্ষণ স্থির হয়ে থাকতে পারে না। পাখিটিকে দেখতে হলে খুব ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এই পাখিদম্পতি একসঙ্গে থাকতে খুব ভালোবাসে। ঘাস, লতাপাতা, মাকড়সার জাল দিয়ে বানানো বাসা দূর থেকে খুব সুন্দর দেখায়। এদের প্রিয় খাবার বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়।  এরা পরম মমতায় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর