২০ জুন, ২০২৪ ১১:৩০

দরিদ্রের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে কাঁঠাল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দরিদ্রের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে কাঁঠাল

ফাইল ছবি

বাজারে এখন আম, লিচু, কাঁঠালসহ নানান ফলের সমারোহ। তুলনামূলক দামে কম এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ রসালো ফল কাঁঠাল। সাধারণত ফলটি দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে পাওয়া যায়। অনেকে এটিকে গরিবের ফল বলে অভিহিত করেন।

স্থানীয়রা জানান, এ বছর বৈরী আবহাওয়ায়ও কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছের নিচু থেকে মগডাল পর্যন্ত ঝুলন্ত অবস্থায় রসালো এ ফল দেখা যায়। এ ফলের সুমিষ্ট ঘ্রাণ দিনাজপুরের গ্রামীণ জনপদের সবাইকে মুগ্ধ করে। জেলার বীরগঞ্জ, মোহনপুর, মরিচা এলাকায় দেখা যায় বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা, আনাচকানাচ, স্কুল-কলেজ, গ্রামীণ সড়কের ধার, পুকুরপাড়ে কাঁঠালে গাছ ভরে আছে। কোনোটি কাঁচা, কোনোটি পাকা। 

পাকা কাঁঠালের ঘ্রাণ সর্বত্র। গাছ থেকে কাঁঠাল পেড়ে খাচ্ছে শিশু-কিশোর থেকে নানান বয়সের মানুষ। এ বছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি বড় ছোট মাঝারি গাছে ২০০ থেকে ৬০০ কাঁঠাল ধরেছে। প্রাকৃতিক নিয়মে গাছে কাঁঠাল পাকে। পরিচর্যা এবং কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে বেশ সুস্বাদু। কাঁঠালের বিচি সবজির সঙ্গে রান্না, পুড়িয়ে বা ভেজে ভর্তা বাঙালির জনপ্রিয় খাবার। কাঁঠালের কোনো অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। কাঁঠালের উচ্ছিষ্টাংশ (কাঁঠালের চাপি) গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সমাজসেবী মাকসুদুজ্জামান সাজু বলেন, ‘কাঁঠাল বিষমুক্ত ও প্রাকৃতিক উপায়ে পেয়ে থাকি। সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা অর্থাভাবে ফল কিনে খেতে পারে না। তারা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থেকেই বঞ্চিত হয়। কাঁঠাল এমন একটি ফল যা কম দামে পাওয়া যায়। এ ফল আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। সবাই কমবেশি এ ফলটি খেতে পারে।’

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁঠালে অন্যান্য ফলের চেয়ে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। সাধারণত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান এ ফলে পাওয়া যায়। ফলটি খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।’

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর