২৮ জুন, ২০২৪ ১৭:১৪

বগুড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ

বগুড়ায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরমুজ চাষ। জেলার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামের মেহেদী হাসান অসময়ে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও অসময়ে চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। চাষকৃত রঙ-বেরঙয়ের তরমুজ ঝুলছে মাচাতে।

জানা যায়, সবজির আইলের পাশে কিংবা পতিত জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করছেন কৃষক মেহেদী হাসান। মাচার নিচে সারি সারি রঙ-বেরঙয়ের তরমুজ ঝুলছে। বালাইমুক্ত রাখতে তরমুজ বাগানে ফাঁদ বসানো হয়েছে। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে।

কাহালু কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজের ফলনও বেশ ভালো। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেহেদী হাসান ২৫ শতক জায়গায় প্রদর্শনীসহ পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সুস্বাদু তরমুজের আবাদ করেছেন।

অসময়ে তরমুজ চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। সারা বছরই এখন চাষ হবে উচ্চমূল্যের অফসিজন তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে গাঢ় সবুজ। খেতেও ভালো ও বেশি দামে বিক্রিও করা যায়। এক সময় বছরের তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলবে সারা বছরই।

মেহেদী হাসান জানান, তিনি প্রথমে ২৫ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী হিসেবে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ভালো ফলন হওয়ায় পরবর্তীতে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ৪ বিঘা জমিতে তার মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনি তরমুজ বিক্রি করেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।

কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে মেহেদী হাসানকে প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা সফল হচ্ছেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর