১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:৪১

ঠাকুরগাঁওয়ে লটকন চাষ করে ভাগ্য বদল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে লটকন চাষ করে ভাগ্য বদল

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

দীর্ঘদিন ধরে ফল ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ ইসলাম। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন নিজ এলাকায়। এক সময় কিশোরগঞ্জে লটকন চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি চারা রোপণ করেন তিনি। সেই চারাগুলোর ফলন ভালো দেখে বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ শুরু করার পরিকল্পনা করেন।  

পরিত্যক্ত একটি জমিতে ইসলাম ১৫০টি লটকনের চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পরই গাছগুলোতে লটকন আসতে শুরু করে। এভাবেই ঠাকুরগাঁওয়ে তার বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ শুরু হয়। মোহাম্মদ ইসলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ঢোলুর হাট এলাকার বাসিন্দা।
 
মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ৪০ শতক জমিতে ১৫০টি লটকন চারা রোপণ করি আজ থেকে তিন বছর আগে। এক বছর পরেই আমার গাছগুলোতে লটকন আসতে শুরু করে। সেই বছর তেমনভাবে ফলন আসেনি। পরের বছর লটকন গাছগুলোতে খুব বেশি করে ফল দেখতে পাওয়া যায়। এ বছর প্রত্যেকটা লটকন গাছে অনেক ফল এসেছে। এই গাছের ফলগুলো আমি নিজেও বিক্রি করি, আবার ঠাকুরগাঁও শহর থেকে বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ী এসেও ফল কিনে নিয়ে যায়। 

বাগান দেখতে আসা মিদুল বলেন, বাজার থেকে কিনে লটকন এর আগেও খেয়েছি। সরাসরি গাছ থেকে এভাবে ফল ছিড়ে খাওয়াা হয়নি কখনো। এই প্রথম লটকন গাছ দেখছি। পরিবারসহ তাই ঘুরতে এসেছি। ঠাকুরগাঁও যে বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ হয়েছে এটা আমাদের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি অর্থনৈতিক সফলতা। 

ঠাকুরগাঁও কৃষিসম্প্রসারণের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণের পক্ষ থেকে সবসময় এসব উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেয়াা হচ্ছে। লটকন একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল। এই ফল চাষে তেমন কোনও খরচ নেই। তাই এই ফলটি অত্যন্ত লাভজনক ফল।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর