৩১ জুলাই, ২০২৪ ১৮:২৭

বৃষ্টির অপেক্ষায় কৃষকরা, সেচে আমন চাষে খরচ বাড়বে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বৃষ্টির অপেক্ষায় কৃষকরা, সেচে আমন চাষে খরচ বাড়বে

আমন চাষের মৌসুম শুরু হলেও আকাশের বৃষ্টির অপেক্ষায় ধানের চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন দিনাজপুরের কৃষকরা। আষাঢ় মাস পার হলেও শ্রাবণে দেখা মেলেনি বৃষ্টির। বৃষ্টি হলেও এখনো ধানের জমি শুকিয়ে আছে। অনেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন। যারা আলু চাষ করার জন্য আগাম চারা রোপণ করেছেন, তাদের সেচ দিতে হচ্ছে। আবার অনেকে সেচ দিয়ে চারা রোপণের চেষ্টা করছেন। এতে আমন ধান চাষে খরচ বেড়ে যাবে বলে জানান কৃষকরা। এ ছাড়া যারা বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন, তারা আমন চাষে পিছিয়ে পড়ছেন।

বুধবার বিভিন্ন এলাকার জমির ক্ষেতে দেখা যায়, কেউ কেউ আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে সুগন্ধি জাতীয় ধান ব্রি-৯০ (৯০ জিরা) ও ব্রি-৫১ (হাইব্রিড) জাত রোপণ করেছেন। কিন্তু জমির ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ সেচ দিয়ে জমিতে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হলেও বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় খরার কবলে পড়েছে আমন চাষ।

তবে কৃষি বিভাগ জানায়, এখনো সময় আছে। যেসব জমিতে আমন চারা রোপণ চলছে, সেসব আগাম জাতের। তারা এই আগাম জাতের ধান তুলে আলু চাষ করবেন।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, শ্রাবণ মাসে এখন বৃষ্টি নেই, তীব্র রোদে জমির ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। সেচ দিলেও পানি থাকছে না। এরপরেও সেচ দিচ্ছি। তা না হলে আমন চারা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে খরচ বেড়ে যাবে।

আরেক কৃষক আজগার আলী জানান, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ৪ বিঘা জমিতে ব্রি-৫১ (হাইব্রিড) জাতের ধান রোপণ করেছেন। হাইব্রিড ধান চাষে পানি বেশি প্রয়োজন। তাই জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এখনই আমন চারা রোপণ করতে না পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রা ৩০-৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠানামা করছে। বুধবার বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয় ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে মৌসুমী বায়ু বিরাজ করছে। আজকালের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায়।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের জন্য রয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল ধরা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর