২৬ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:১২

চলমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রেখেছে পাটচাষিরা

নজরুল মৃধা, রংপুর

চলমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থনীতি 
সচল রেখেছে পাটচাষিরা

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি  কিছুটা হোচট খেলেও  রংপুর অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রেখেছে পাটচাষিরা।  সোনালী আশ পাট কাটা শেষের পথে। বাজারে দামও ভাল। তাই কৃষকরা বেশ খুশি। এবার পাট ও পাট খড়ি বিক্রি করে  এক হাজার ২০০ কোটি টাকার ওপরে ঘরে তুলবে এঅঞ্চলের  কৃষকরা। এমনটা আশা করা হচ্ছে।  
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায়  ৫৪ হাজার হেক্টর। এই পরিমাণ জমি থেকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪ বেল (প্রতিবেল ২০০ কেজি) পাট উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। 

সূত্র মতে, প্রতি হেক্টরে পাটের উৎপাদন হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ মণ । প্রতি মন পাট বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন  ২ হাজার ৭০০শ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই হিসেবে পাট বিক্রি হবে একহাজার কোটি টাকার ওপর। অপরদিকে প্রতিমণ পাট খড়ি বিক্রি হয়েছে গড়ে সাড়ে ৪শ থেকে ৫০০ টাকা। প্রতি হেক্টর জমির পাট খড়ি বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকার ওপরে। সেই হিসেবে এ অঞ্চলের চাষিরা পাট খড়ি বিক্রি করবেন ২০০ কোটি টাকার ওপর। পাট ও পাট খড়ি বিক্রি করে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ওপরে ঘরে তুলবে এ অঞ্চলের কৃষকরা।

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়নের ভরভযংয ২ একর জমিতে পাট আবাদ করে ফলন পেয়েছেন ৪০ মন। প্রতি মন ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন এক লাখ টাকা ওপর। একই পরিমাণ জমি থেকে পাট খড়ি পেয়েছেন ৭০ মণের ওপর। পাট খড়ি বিক্রি করে তার ঘরে আসবে আরও ৩৫ হাজার টাকার বেশি। তার মত রংপুর বিভাগের কয়েক লাখ পাট চাষি তাদের উৎপাদিত ফসলের ভাল দাম পাওয়ায় বেশ খুশি।
কাউনিয়ার চাষি  তুহিন জানান,পাট আবাদ করে তারা ২ ধরনের লাভ পাচ্ছেন। তা হলো ভালো দামে পাট বাজারে বিক্রি করা এবং পাটখড়িও বেশ চাহিদা থাকায় তা পাটের আঁশের সাথে সাথে তারা পাট খড়ি বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বুড়িরহাট হটিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক আবু সায়েম জানান, গত কয়েক মৌসুম থেকে পাটের বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলে সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। অনেক চাষিই এখন পাটের ওপর নির্ভরশীল।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর