জঙ্গি দমনে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি। ধরপাকড়। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর গ্রেনেড ও গ্রেনেড বানানোর বিস্ফোরক। আর এই অভিযানের গতি বাড়াতে ‘কাউন্টার-টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম’ নামে আলাদা একটি ইউনিট গড়ে তোলার তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলাদেশ। ওই ইউনিটের কাজ এ মাসেই শুরু হবে। ফলে, বাংলাদেশ এ মাস থেকেই জঙ্গি দমনে সর্বাত্মক অভিযানে নামছে বলে শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে গত চার মাসে ১৯টি হিংসাত্মক ঘটনায় জঙ্গিরাই জড়িত রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জঙ্গিদের তত্ত্ব ও বার্তা প্রচার, নতুন সদস্য নিয়োগ, অর্থ সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে। জঙ্গি দমনে নতুন যে ইউনিটটির এ মাস থেকেই কাজ শুরু করার কথা সেই ইউনিট এবার ইন্টারনেটের ওপরেও নজর রাখবে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই জানুয়ারিতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বা মেলায় জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র তৎকালীন শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও তাঁর কয়েক জন সহযোগীকে ২০০৬ সালে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাই নামে পরিচিত সিদ্দিকুল ইসলামসহ সাত জনের ফাঁসি হয় ২০০৭ সালে।
গত বছরের ২৮ ফেব্রয়ারি চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ তিন জনকে আটক করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক সহ জঙ্গি সন্দেহে মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করে পুলিশ। গত রবিবার সকালে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ব্রিজ এলাকার একটি বাড়ি থেকে গোলাবারুদসহ এক জনকে আটক করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের ঘনিষ্ট সহযোগী ও জেএমবি সদস্য মেহেদি হাবিব মোহাম্মদ রফিককে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব