ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন
মানুষ এতোটা নিচে নামতে পারে কীভাবে: ওস্তাদ রশিদ খান
অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুর এবং তার স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে উপমহাদেশের সংস্কৃতির ওপর অন্যতম বড় আঘাত বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান।

শুক্রবার দেশটির জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শুরুতেই একথা বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওই তাণ্ডবের খবর কলকতায় ওস্তাদ রশিদ খানের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘ওস্তাদ রশিদ খান: অ্যাটাক অন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ইজ শকিং’।

প্রতিক্রিয়ায় দুঃখ ও বিরক্তি প্রকাশ করে ওস্তাদ রশিদ খান বলেন, “এটাই সীমাবদ্ধতা। আমি জানি না; মানুষ এতোটা নিচে নামতে পারে কীভাবে, যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি।”

ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ-নৃত্যশিল্পী-যন্ত্রীদের নিয়ে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “গত নভেম্বরে আমি ঢাকায় পারফর্ম করি, যেখানে প্রায় ৬০ হাজার লোক আমার কনসার্ট শুনতে এসেছিল। আমি নিশ্চিত, যারা শিল্প ভালোবাসেন তারা এতো নৃশংস কোনো কিছু করতে পারেন না।”  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যা ঘটেছে তা মৌলবাদীরা করতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তবে ধার্মিক লোকেরাও সঙ্গীত ভালোবাসে। আমি দেখেছি, কলকাতায় গুলাম আলী ভাইয়ের কনসার্টে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম কীভাবে অংশ নিতে এসেছে।

তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একটি কনসার্ট আয়োজনের মাধ্যমে খুব ভালো একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শিল্প ও শিল্পীদের তিনি যে সম্মান দিয়েছেন তাতে আমরা খুবই খুশি। আর এমন সময়ে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি খু্বই কষ্ট পেয়েছি।”

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক সতীর্থের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার শহরজুড়ে তাণ্ডব চালায় মাদ্রাসাছাত্ররা। ওই সময় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুরের পাশাপাশি সুর সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও পুড়িয়ে দেয় তারা।

বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব



এই পাতার আরো খবর