ঘটনাটা ভারতের। পরীক্ষা হলে হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে চলছিল ‘হাইটেক’ টোকাটুকি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বিশেষ পর্যবেক্ষকের হাতে ধরা পড়ে গেল ‘গুনধর’ ছাত্ররা।
ঝাড়খণ্ডে এখন চলছে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। গত কাল পরীক্ষার বিষয় ছিল কম্পিউটার সায়েন্স। পুলিশ জানিয়েছে, গুমলার একটি সরকারি স্কুল থেকে মোট ৩২ জনকে টোকাটুকির অভিযোগে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন ছাত্রী। এরা এ’বছর আর পরীক্ষায় বসতে পারবে না। ৩২ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে টোকাটুকি করছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন ছাত্রদের আচরণ নিয়ে পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। কিন্তু তিনি হাতেনাতে টোকাটুকির প্রমাণ পাননি। খবর যায় জেলাশাসকের অফিসে। সেখান থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দল পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন। তারা ছাত্রছাত্রীদের খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতেই ‘সাইলেন্ট মোড’-এ থাকা মোবাইলগুলি পাওয়া যায়। সেখানে তখনও খোলা ছিল হোয়াট্সঅ্যাপ।
পরীক্ষকরা জানান, ওই হোয়াট্স্যাপের মাধ্যমে ছাত্ররা একটা গ্রুপ বানিয়েছিল। প্রশ্নগুলো হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরের সাহায্যকারীকে পাঠানো হচ্ছিল। সে উত্তর লিখে ফের পোস্ট করছিল গ্রুপে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের ‘গ্রুপ অ্যাডমিন’-এর ফোন এখন বন্ধ। সেই সম্ভবত বাইরে থেকে উত্তর পোস্ট করছিল।
সূত্র: অনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা