ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিশাল সামরিক জোটে ভারত, উদ্বেগ প্রকাশ করল ইসলামাবাদ
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলির সামরিক বোঝাপড়া বাড়তে থাকায় আতঙ্কে পাকিস্তান। সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সে কথা। এক মাত্র মিত্র দেশ চীন সব রকম ভাবে সমর্থন করা সত্ত্বেও যে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান, নাসির খান জানজুয়ার মন্তব্য সে কথাই প্রমাণ করছে। বলছে ওয়াকিবহাল মহল। চিনের বিরুদ্ধে ভারতের এবং আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যে গাঁটছড়া তৈরি হয়েছে, তার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানজুয়া মন্তব্য করেছেন। চীনের হয়ে পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সওয়াল, চীন এই সব দেশের ক্ষতি চায় না।

ভারতের সঙ্গে তার দুই প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্কের টানাপড়েন অনেক দিনের। কূটনৈতিক এবং সামরিকভাবে ভারতকে চাপে রাখতে ক্রমেই চীন এবং পাকিস্তান পরস্পরের মধ্যে সমঝোতা বাড়িয়েছে। চীন এবং পাকিস্তানের এই সমঝোতা গত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে, ভারতকে চীন ও পাকিস্তানের যৌথ শক্তির মোকাবিলা করতে হতে পারে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাল্টা রণকৌশল তৈরি রেখেছে ভারতও। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি’র মতো দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক এবং সামরিক সমঝোতা দ্রুত বেড়েছে। জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার নৌসেনার সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনার বোঝাপড়াও এখন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ। আমেরিকা খোলাখুলিই বলছে, এশিয়া প্যাসিফিক এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ‘আগ্রাসন’ রুখতে নয়াদিল্লিই এখন ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় মিত্র। দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের প্রভাব বাড়ায় আমেরিকা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ওই অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনাকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ টহলদারি শুরু করার প্রস্তাবও পেন্টাগন বার বার দিচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এতগুলি শক্তিশালী দেশের সামরিক সমঝোতায় চীন যে উদ্বিগ্ন, তা বেইজিং-এর বিভিন্ন মন্তব্যে বার বার স্পষ্ট হয়েছে। এ বার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গেল সে কথা।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির খান জানজুয়া ইসলামাবাদে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘পশ্চিমি দেশগুলি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কারণ ভারত এবং ওই দেশগুলির একটি অভিন্ন চীন-বিরোধী নীতি রয়েছে। কিন্তু চিন এই অঞ্চলে তথা গোটা বিশ্বে শান্তি চায়। এই সব দেশগুলির বিরুদ্ধে চীনের কোনও অসদুদ্দেশ্য নেই।’’ ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিনকে রোখার যে নীতি আমেরিকা এবং অন্য দেশগুলি নিয়েছে, তা এখনই পরিত্যাগ করা উচিত বলে পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মত।

কূটনৈতিকরা বলছেন, চীনকে সঙ্গে নিয়েও পাকিস্তান নিশ্চিত নয় যে ভারতকে চাপে ফেলতে তারা কতটা সক্ষম হবে। বরং ভারতের পাল্টা কূটনীতিতে চিন-পাকিস্তান এক সঙ্গে চাপে পড়ে গিয়েছে। একটি মহলের দাবি, শুধু পাকিস্তান উদ্বেগে নয়। উদ্বেগে চিনও। পাকিস্তানের মাধ্যমে পশ্চিমী দেশগুলিকে চিনও এখন বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা



এই পাতার আরো খবর