ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মোদির তীব্র সমালোচনায় প্রণব!
অনলাইন ডেস্ক

বহুত্ববাদ ও সহিষ্ণুতাই যে ভারতীয় সভ্যতার প্রতীক এবং ঐতিহ্য, সেটা আরও একবার জোরের সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। নাম না করলেও, দেশের নানা প্রান্তের অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গে এ দিন তার কড়া সমালোচনার লক্ষ্য ছিলেন নরেন্দ্র মোদিই। শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অর্জুন সিংহের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে উঠে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যই হল সহিষ্ণুতা এবং বিরুদ্ধ মতকে সম্মান জানানো।...

বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই  বিশ্বের দরবারে ভারতের মাথা উঁচু করেছে। কিছু মানুষের কারণে এটাকে নষ্ট করতে দেওয়া উচিত নয়। মত পার্থক্য, তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এ দেশের ঐক্যের দর্শনকে অস্বীকার করলে হবে  না।...   ১০৩ কোটির দেশ এই ভারতবর্ষ। ১২২টি ভাষা, ১৬০০টি উপভাষা এবং সাতটি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাস করেন।’’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “ভারতীয় সভ্যতায় বহুত্ববাদের ধারণা শয়ে শয়ে বছরের ফসল। এটাকে নষ্ট হতে দিলে আমাদের মৌলিক চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রটাই শেষ হয়ে যাবে।”

মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “ধর্ম একতার শক্তি। এটাকে কোনও দ্বন্দ্বের শিকার বানানো উচিত নয়।” বিশ্বের দরবারে সর্বধর্মে সহিষ্ণুতার একটা বড় উদাহরণ ভারত।  কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু অঞ্চলে ধর্মীয় হিংসা ক্রমেই মাথা চাড়া দিচ্ছে। এটা যাতে ভয়াবহ আকার নিতে না পারে তার আগেই সতর্ক হওয়া উচিত দেশবাসীর। এ রকম একটা কঠিন পরিস্থিতিকে সামলাতে আইনের শাসন দরকার। প্রণববাবু আরও মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্র শুধু সংখ্যাই নয়, মতৈক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা একটা শক্ত স্তম্ভ। এখানে অরাজকতাকে কোনও ভাবেই ঠাঁই দেওয়া চলবে না।

শনিবার অর্জুন সিংহ স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা    

বিডি-প্রতিদিন/ ১০ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা



এই পাতার আরো খবর