ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

উইলিয়ামের বানানো দোসা মুখেই তুললেন না কেট
অনলাইন ডেস্ক

রান্নাটাও নাকি তিনি ভালোই পারেন। খেলার মাঠে ঝড় তোলার পরদিন ঢুকে পড়লেন রান্নাঘরে। একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে ‘রাঁধুনি’-র ভূমিকায় দেখা গেল ডিউককে। সঙ্গে ছিলেন ডাচেস অব কেমব্রিজ।

ময়দার গোলাটা চটপট মেশিনটায় ঢেলে দিলেন ডিউক— উইলিয়াম। তারপর মেশিনের বোতামগুলো টিপে দিলেন ডাচেস অব কেমব্রিজ, কেট। আর এক মিনিটেই তৈরি দোসা। খেতেও বেশ সুস্বাদু। অন্তত খানিকটা চেখে তেমনটাই জানালেন উইলিয়াম। তবে দোসা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন কেট। কারণটা জানা যায়নি।

এক কামড় দিয়েই উইলিয়াম বললেন, ‘‘নমস্তে মুম্বাই! এই দোসা অভিজ্ঞতাটার জন্য ধন্যবাদ। সামনের বার নিশ্চই আরও ভাল কিছু হবে।’’ যে মেশিনে এক মিনিটেই রান্না সারা হয়ে গেল, তা নিয়েও বেশ কৌতূহলী উইলিয়াম। বিস্ময় চেপে না রেখেই তিনি বলেছেন, ‘‘(ভারতীয়দের) এই নতুন নতুন ভাবনা আর উদ্যম দেখে আমরা অবাক। এখানে এসে বুঝতেই পারছি উদ্ভাবন আর প্রযুক্তির সাহায্যে ভারত কী ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’ 

ডিউক এবং ডাচেস দু’জনেই নাকি দোসা খেতে বেশ ভালবাসেন। তাই এই মেশিনটি রাজপরিবারের জন্যও চেয়ে রেখেছেন ডাচেস। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সেই মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার। এমনকি এই মেশিনে যেহেতু প্যানকেকও বানানো যেতে পারে, তাই গোটা লন্ডনেই এর ভালো কদর হবে, সেটাও নাকি বলেছেন কেট।

তবে এ সবের আগে কেট ও উইলিয়াম তাদের প্রবীণতম ভক্ত ৯৩ বছরের বোমান কোহিনুরের সঙ্গে দেখা করলেন। মুম্বাইয়ের একটি জনপ্রিয় পার্সি রেস্তোরাঁর মালিক তিনি। রাজপরিবারের এতোটাই ভক্ত বোমান যে তার রেস্তোরাঁও সাজানো রানি এলিজাবেথের ছবি, উইলিয়াম, কেটের বড় বড় কাট আউট দিয়ে। কিছু দিন আগেই তার রাজদম্পতির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা জানতে পেরে মুম্বাইয়ের রেস্তোরাঁর মালিকের জন্যও সময় রাখতে ভোলেননি ডিউক এবং ডাচেস অব কেমব্রিজ।

পরে নয়াদিল্লি উড়ে যান কেট-উইলিয়াম। সেখানে ‘গান্ধী স্মৃতি’-তে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তারা। রানি এলিজাবেথের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ একটি বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। আর আগামীকাল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজের পরেই গন্তব্য কাজিরাঙা। আসলে হাতে মোটে একটা সপ্তাহ। অথচ তালিকায় প্রচুর কাজ। 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি-প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা



এই পাতার আরো খবর