ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লাগাতার খরায় পানি আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের রাজস্থানের আর পাঁচটা গ্রামের মতো ওই গ্রামটিতেও পানির বড্ড অভাব। তাপপ্রবাহ সেখানে রোজকার ঘটনা। নেই একটিও পানির কল। বৃষ্টি সেখানে বিরল। গ্রামের ১২ বছরের কিশোরী যোগিতা দেশাই রোজ আধ কিলোমিটার দূরের একটা কল থেকে পানি আনতে যেত। দিনে কয়েকবার তাকে যেতে হতো। সে রাজ্যের কনকনে ঠাণ্ডা বা তীব্র গরম, কোনও কিছুতেই ছুটি ছিল না ছোট্ট যোগিতার। গত কয়েক দিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছিল সে। কিন্তু পরিবারের যে যোগিতার সাহায্য দরকার। সে না গেলে বাড়িতে যে আর কারোই খাওয়ার পানিটুকু জুটবে না। তাই গত রবিবারও ওই ৫০০ মিটার দূরে জল আনতে গিয়েছিল যোগিতা। 

বাইরে তখন তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি। সঙ্গে গনগনে রোদের রক্তচক্ষু। এক বার নয়। পর পর পাঁচ বার পানি আনতে যেতে হয়েছিল তাকে। অবশ্য একমাত্র পানির উৎস থেকে পঞ্চম বার পানি নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি এই কিশোরীর। রোদ তাকে সে অবকাশ দেয়নি। হঠাৎ রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে। আর তখনই মারাও যায়।

মৃতদেহ পরীক্ষা করে ডাক্তার জানিয়েছেন, ডিহাইড্রেশন আর হার্ট অ্যাটাকের জোড়া আক্রমণ প্রাণ কেড়েছে রাজস্থানের বিড গ্রামের বাসিন্দা যোগিতার। গত তিন বছর ধরেই রাজস্থানের মারাথাওয়াড়া জেলার অন্য সব গ্রামের মতো বিডেও চলছে লাগাতার খরা। রবিবার বিডের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচে' কম ৩৮ ডিগ্রি। 

যোগিতার এক চাচা একটি নিউজ চ্যানেলে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের এখানে বড্ড পানির কষ্ট, কী করব যোগিতাকে যে পানি আনতে যেতেই হত।’’ 

তীব্র তাপপ্রবাহে এ বছর ইতোমধ্যেই ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১০ জন। গত তিন সপ্তাহে উড়িষ্যায় মারা গেছেন ৪৫ জন। তেলেঙ্গানায় ৩৫ জন। 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা



এই পাতার আরো খবর