ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সম্পর্কে পাঁচ তথ্য
অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টালিজেন্স সম্পর্কে নানারকম বহু প্রচলিত রয়েছে। তার মধ্যে ভুল তথ্যও আছে। জেনে নিন আইএসঅাই সম্পর্কে পাঁচ বাস্তব তথ্য:

এক. ১৯৪৮ সালে স্থাপিত হয় আইএসআই। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী গুপ্তচর সংস্থা। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, নেভাল ইন্টেলিজেন্স এবং এয়ার ইন্টেলিজেন্স— এই চারটি ভাগ রয়েছে আইএসআই-এর। ১৯৪৭-এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের কাছে গুপ্তচরবৃত্তিতে জোর ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। তার পরেই আইএসআই গঠনের সিদ্ধান্ত।

দুই. আফগানিস্তানে মুজাহিদিন গেরিলাদের হাতে পশ্চিম থেকে আসা অস্ত্র এবং অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেছিল আইএসআই। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে (ডিসেম্বর ১৯৭৯ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) গেরিলাদের হাতে অস্ত্র যেত আইএসআই-এর হাত ধরেই। রুশ সেনার বিপুল ক্ষতি করেছিল আইএসআই। এই বিদ্রোহী গেরিলাদের থেকেই জন্ম তালিবানের।

তিন. এ পর্যন্ত কোন আইএসআই এজেন্ট ধরা পড়েননি। এটি একটি মিথ। কেননা, আইএসআই এজেন্ট সন্দেহে যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের কারও দায় পাকিস্তান সরকার কোনও দিন নেয়নি। সাধারণত কোনও দেশের সরকারই গুপ্তচরবৃত্তির দায় নেয় না। তাই আইএসআই চর ধরা পড়েননি, সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

চার. আইএসআই আল কায়দা এবং তালিবান জঙ্গিদের গ্রেফতার করে না বলে শোনা যায়। যদিও বাস্তব হিসাব বলছে, একাধিক তালিবান এবং আল কায়দা নেতা ধরা পড়েছে আইএসআই-এর হাতে। আমেরিকার সিআইএ-র হাতে হাত মিলিয়ে আইএসআই কাজ করেছে। রামজি ইউসেফ, আবদুল গণি বরাদর, আহমেদ ওমর সইদ শেখের মতো জঙ্গি নেতারা ধরা পড়েছে আইএসআই-এর তৎপরতায়।

পাঁচ. আইএসআই-এর এজেন্ট নাকি অসংখ্য। কোথায়, কে আইএসআই এজেন্ট, তা নাকি বলা দুঃসাধ্য। আইএসআই-এর রিক্রুটমেন্ট সেল খুব পোক্ত। রিক্রুটমেন্টের তালিকায় সাধারণ চাকুরে থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিক— শোনা যায় তালিকা নাকি দীর্ঘ। 

সূত্র: এবেলা 

বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০১৬/ আফরোজ



এই পাতার আরো খবর