ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অনশন ভাঙবো আমায় মুক্তি দিন, আদালতে শর্মিলার আবেদন
অনলাইন ডেস্ক

দেড় দশক পর অনশন ভাঙতে চলেছেন ইরম শর্মিলা চানু। মঙ্গলবার সকালে সে কারণেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শর্মিলা। সেখানেই বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অনশন ভাঙবেন লৌহ মানবী। তবে অনশন ভাঙার পর তিনি এখনই বাড়ি ফিরবেন কিনা তা জানা যায়নি।

১৬ বছর কেটে গিয়েছে অনশন মঞ্চে, তবু তাঁকে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি। তাই তাঁর নামের পাশে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই জুড়ে গিয়েছিল ‘লৌহ মানবী’ উপমা। ভারতের ‘অগ্নিকন্যা’ বললেও খুব একটা ভুল বলা হয় না ইরম শর্মিলা চানুকে। আজ আর কয়েক ঘণ্টা পরেই দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন ভাঙতে চলেছেন ইরম। মণিপুরে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভারতের যে সব রাজ্যে আফস্পা জারি রয়েছে (যেমন কাশ্মীর ও উত্তর পূর্বের কয়েকটি রাজ্য), সেখানেও যা খুশি তাই করতে পারবে না সেনাবাহিনী। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরেই গত ২৭ জুলাই আদালতে দাঁড়িয়ে অনশন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন চানু। শুধু তাই নয়, অনশন ভেঙে এ বার প্রেমিক ডেসমন্ড কুটিনহোর সঙ্গে ঘর বাঁধতে চান সে কথাও জানিয়েছিলেন ৪৪ বছরের শর্মিলা। মণিপুরের আগামী নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোটে লড়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

২০০০ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন শর্মিলা। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে জোর করে নাকে নল ঢুকিয়ে খাওয়ানো হত। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তের পরেই ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন শর্মিলা। ‘আফস্পা’র  বদল না হওয়া সত্ত্বেও তাঁর এ হেন সিদ্ধান্তে অভিযোগের অঙ্গুল উঠছে মূলত প্রেমিক ডেসমন্ডের দিকেই। অনেকেই মনে করছেন মণিপুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন চানু। আবার অনেকের মতে ডেসমন্ড আসলে ভারত সরকারের পাতা ফাঁদ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তাঁর পরিবারের মানুষজনও। তবু নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে আজ অনশন ভাঙছেন চানু।

 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ



এই পাতার আরো খবর