ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ডুবে যাওয়ার ৫০০ বছর পরে উন্মোচিত হচ্ছে রহস্য
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের আলোচিত জাহাজডুবির নামের তালিকায় একটি হলো 'মেরি রোজ'। ১৫১১ সালের জুলাই মাসে যাত্রা শুরুর ৩৪ বছরের মাথায় ডুবে যায় ওই ব্রিটিশ জাহাজ। ফ্রান্স বাহিনীর গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রিটেনের সামুদ্রিক খাল সোলেন্টে ১৫৪৫ সালের ১৯ জুলাই মাসে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী নিয়ে তলিয়ে যায় 'মেরি রোজ'। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন জাহাজ ক্যাপ্টেন, সার্জন, নাবিক। সেদিন প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিলেন মাত্র ৩৫ জন।

ডুবে যাওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর 'মেরি রোজ'র রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। সোলেন্ট খালের গভীর থেকে এ পর্যন্ত ৪০০ নাবিকের প্রায় ১০ হাজার হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হাড় ও মাথার খুলি বিচার বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি জাহাজটির এক নাবিকের ছবি এঁকেছেন শিল্পীরা। ধারণা করা হচ্ছে, 'মেরি রোজ' জাহাজটির মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন ওই নাবিক।

জাহাজ ডুবে যাওয়ার সময় ওই নাবিকের বয়স ছিল ৩০ ছুঁইছুঁই। তিনি উচ্চতায় ছিলেন ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। জাহাজের ডেকের নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ওই নাবিকের। খুলিকে অবয়ব দেয়ার পর দেখা যাচ্ছে ওই নাবিকের মুখের আকৃতি ছিল চওড়া, তার দু'চোখ গভীরে প্রোথিত, ঠোঁট পাতলা এবং নাকটি থ্যাবড়া। ডিএনএ পরীক্ষার পর ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই জাহাজডুবিতে প্রাণ হারানো শত শত নাবিকের পরিচয় এখনো অজানা। তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে এ রহস্যের সমাধান তারা করতে পারবেন।     

ফ্রান্সের রাজা প্রথম ফ্রান্সিসের অহংকারের জবাব দিতে ৮০টি জাহাজের সঙ্গে ১২ হাজার সৈন্যের এক বিশাল নৌবহর গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। ওই জাহাজগুলির একটি জাহাজ ছিল এই 'মেরি রোজ'। জাহাজটির দায়িত্ব ছিল রাজকীয় নৌবাহিনীকে সহায়তা করা। জাহাজের ওপর থেকে কামান চালানোরও ব্যবস্থা ছিল। এ রকম ব্যবস্থার দিক থেকে জাহাজটি ছিল প্রথম। সূত্র : ডেইলি মেইল

 

বিডি প্রতিদিন/০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর