ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের 'প্রমাণ' নিয়ে রাজনীতি
অনলাইন ডেস্ক

এবার শুরু হয়েছে সার্জিক্যাল অপারেশনের প্রমাণ নিয়ে রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে ভারতের সেই সেনা অভিযানের প্রমাণ কোথায়?বিরোধীদের এই প্রশ্ন নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছে না সরকারকে; বরং পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলা হচ্ছে উপযুক্ত সময়ে প্রমাণ দেব। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। 

প্রথমদিন অবশ্য বিরোধীরা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে সমর্থন দিয়ে একজোট হয়ে সরকার আর সেনার পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পাঁচদিন পরে তাদেরই গলায় অন্য সুর। গত সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেনা অভিযানের প্রমাণ চেয়েছিলেন। প্রায় একই সুর ছিল কংগ্রেসের পি চিদম্বরমেরও। মঙ্গলবার সকাল থেকে কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরুপম তো সেনা অভিযানকেই ভুয়ো বলে বসেন! পরে অবস্থান কিছুটা নরম করে কংগ্রেস বলে, সেনার সাফল্য নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ইউপিএ আমলেও তিন বার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে সেনা। কিন্তু এ বারে ভারত সরকারি ভাবে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর কথা বলার পর থেকে পাকিস্তান যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা থামাতে প্রমাণ সামনে আনা দরকার।

মধ্যরাতে সেনা অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশাটা আসলে সরকারেরই তৈরি করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নিজেই বলেছেন, অপেক্ষা করুন, উপযুক্ত সময়ে সব খোলসা হবে। বিরোধীদের কটাক্ষের পরে সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হয়, ক’দিন আগে বলা হচ্ছিল, সেনা অভিযান করার হিম্মত নেই নরেন্দ্র মোদির। সেটা হওয়ার পরে এখন বলা হচ্ছে, প্রমাণ নেই! প্রমাণ দেওয়া হবে উপযুক্ত সময়ে। সেই উপযুক্ত সময় কোনটা?

এদিকে, সেনা অভিযান নিয়ে বিরোধীদের মোদি-কটাক্ষের জবাব দিতে বিজেপি গতকাল দিনভর জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছে। কেজরিওয়ালের সঙ্গে পাক জঙ্গি হাফিজ সাঈদের যোগ আছে বলে স্লোগান দিয়েছে। বিজেপির তরফে বলা হয়, কেজরিওয়াল এক সময় পাকিস্তানের থেকে অর্থ নিয়ে এনজিও চালাতেন। এখন তার প্রতিদান দিচ্ছেন। তাই তার উদ্ধৃতি তুলে সরব হচ্ছে পাক সংবাদমাধ্যম ও শাসকগোষ্ঠী। 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ



এই পাতার আরো খবর