ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যে কারণে জয়নাবকে ফাঁসি দিচ্ছে ইরান
অনলাইন ডেস্ক

২২ বছর বয়সী এক ইরানি হতভাগ্য নারীর নাম জয়নাব সেকানভান্দ। অনাগত সন্তানকে হারিয়েছেন, হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের, যারা তাকে পরিত্যাগ করেছে। হারিয়েছেন স্বাধীনতাকে, কারাগারের প্রকোষ্ঠে থেকে। এখন বাকি রয়ে গেছে যে জিনিসটা আছে তাও জয়নাব হারাতে চলেছেন। সেটা হলো জীবন।

গরীব ইরানি কুর্দিশ এক কিশোরী বধূ জয়নাবের গল্প এটি। আজ ফাঁসি হয়ে যেতে পারে তার। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাকে বাঁচাতে লড়ছে। ওই লড়াই ব্যর্থ হলে হয়তো এ রিপোর্টটি পড়ার সময় ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়াতে হতে পারে জয়নাবকে।

ইরানি ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তিনি। অবশ্য জয়নাবের বয়স ছিল মাত্র ১৭। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় জয়নাব প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না। সুতরাং তাকে ফাঁসি দেয়া অন্যায় হয়ে যাচ্ছে।

১৫ বছর বয়সে ভালোবাসা এবং সুযোগের খোঁজে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে হোসেইন সারমাদিকে বিয়ে করেন। সারমাদি তার থেকে চার বছরের বড় ছিলেন। জয়নাবের বিশ্বাস ছিল, স্বামীর কাছে একটা ভালো জীবন পাবেন। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। সারমাদির কারণে জীবনটা জয়নাবের কাছে আরো কঠিন হয়ে যায়। কিশোরী বধূ জয়নাবকে নিয়মিত অত্যাচার করতো সারমাদি। পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল জয়নাব। স্বামীর কাছ থেকে তালাকও চেয়েছিল সে। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। মুক্তি উপায় খুঁজতে গিয়ে হতবুদ্ধি জয়নাব বাধ্য হয়ে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করেন। পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধও শিকার করেছেন জয়নাব। কিন্তু যার জন্য এতকিছু, একটু স্বাধীনতা, সেটা পাওয়ার আগে পৃথিবী ছাড়তে হচ্ছে জয়নাবকে।

 

বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা

 



এই পাতার আরো খবর