ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

'মিয়ানমারকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে'
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

'মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তার সঙ্গে বর্তমান সরকারের কোনো পার্থক্য নেই। তাই এখনই জরুরি ভিত্তিতে মিয়ানমারকে আগেকার মতো আরো একবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে যা করা প্রয়োজন তার সঙ্গে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।' 

অনলাইন গালফ নিউজের ‘মিয়ানমার মাস্ট বি শানড অ্যান্ড আইসোলেটেড’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে। 

ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা নিতে পারে জাতিসংঘ। সব সময় যেভাবে করেছে ঠিক সেভাবেই সাহায্য করতে পাশে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

এতে আরো বলা হয়, প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। কৃষিজমি, বন পেরিয়ে তারা উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়েছেন নিষ্পেষণ ও হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে রেহাই পেতে। এসব অপরাধ করছে ইয়াঙ্গুনের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনারা। নিজ দেশে নিষ্পেষণ থেকে রক্ষা পেতে পালাতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ট্রাজেডিতে পড়ছেন রোহিঙ্গারা। গত বুধবার রাতে কক্সবাজার সৈকতে ভেসে উঠেছে ১৯ রোহিঙ্গার মৃতদেহ।

বৃহস্পতিবারে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে মুক্ত আলোচনা হয়েছে। সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁ রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশাকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের শরণার্থী সঙ্কট, মানবিক সঙ্কট ও মানবাধিকারের জন্য এক দুঃস্বপ্ন বলে আখ্যায়িত করেছেন। 

বিডি প্রতিদিন/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ এনায়েত করিম



এই পাতার আরো খবর