ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশি আকায়েদের রহস্যজনক পদক্ষেপের নেপথ্যে
জেফ্রি জেটলম্যান

ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক ফেরার আগ থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের জনাকীর্ণ সাবওয়ে স্টেশনে পাইপ বোমা দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা পর্যন্ত আকায়েদ উল্লাহ শেষ একটি কাজ করেছিলেন-রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করতে এক রাত বাস সফর।

ঢাকায় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার পর সে ওই সফর করেছে, এবং একটি মসজিদে এবং গাছের নিচে ঘুমিয়েছে, শেষে জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েক ডলারের ওষুধ বিতরণ করেছে।

আকায়েদের শাশুড়ি বলেন, যাওয়ার সময় সে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবির থেকে ফিরে আসার পর সে খুব হতাশ ছিল। সে বলেছিল ওই মানুষগুলো (রোহিঙ্গারা) প্রতি মুহূর্তে নরকে বাস করছে।

গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আকায়েদের সেই একাকী সফর এখনো রহস্য। আকায়েদ কী আল কায়েদাকে অনুসরণ করেছিল সে আকায়েদ যে রোহিঙ্গাদের ওষুধ-অস্ত্র সরবরাহ করতে মুসলিমদের আহ্বান জানিয়েছিল যারা পাশ্ববর্তী মিয়ানমারে ধর্ষণ ও বর্বরতার শিকার? নাকি আকায়েদ তার মনের কথা শুনেছিল, যেটা তাকে প্রথমবারের মতো নিজেকে ধ্বংস করার পথে টেনে নিয়েছিল?

আমেরিকার তদন্তকর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে ফেরার কয়েক সপ্তাহ পর আকায়েদ (২৭) বোমা বানানো শুরু করে। ১১ ডিসেম্বর সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আহত এবং ঘটনাস্থলেই আটক হয়।

জঙ্গি গোষ্ঠীর সাবেক সদস্য হাসান রফিক। এখন কাজ করছেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আকায়েদ গিয়েছিল সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সদস্য সংগ্রহ করছে। শিবিরের কেউ আকায়েদকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্ধুদ্ধ করেছে। তাকেই এখন খুঁজে বের করতে হবে।

(নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে আংশিক অনূদিত)

বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর