ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের পান চাষীরা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মানিকগঞ্জের পান চাষীরা ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে সারাদিন পান বরজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক সময় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সাচিপান দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাকিস্তান, লন্ডন ও আরব দেশে রপ্তানি হতো। বিদেশে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই পান চাষীরা খুব একটা ভাল নেই। 

বর্তমানে সুধু দেশী পান চাষ করে এলাকার শত শত পানচাষী জীবিকা নির্ভর করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পান চাষীরা পরম যত্নে পান বরজের পরিচর্যা করছেন। কেও সার দিচ্ছেন, কেও  পানের ডোগা বেঁধে দিচ্ছেন ও আগাছা পরিষ্কার করছেন। 

হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার খালেক মেম্বার(৬৭) বলেন, আগে কয়েক বিঘা পানের বরজ করতাম। এবার মাত্র ২ বিঘা জায়গায় পানের বরজ করেছি। পান চাষ আমাদের পূর্ব পুরুষের কর্ম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভ অনেক বেশী। একবার পানের ডগা রোপন করলে অনেক বছর বেঁচে থাকে। শুধু যত্ন নিলেই চলে। এলাকাটি নিচু এবং নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকি। এবারো বর্ষার পানিতে পানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক নতুন ডোগা লাগানো হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, একবিঘা জমিতে পান বরজ করতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হলেও বিক্রী হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এ পান সারা বছর বিক্রী হয়ে থাকে। আমরা পাইকারী বিক্রী করি। আকার ভেদে প্রতি বিড়া (৮০টি) পঞ্চাশ টাকা থেকে একশত বিশ টাকা দরে বিক্রী হয়। নদী ভাঙ্গনের কারনে অনেক পানচাষ কমে গেছে। এরপরেও এ এলাকায় অনেক পরিবার পান চাষ করে ভাল আছেন। 

খিলি পান বিক্রেতা মতি বলেন, প্রতিদিন লোকজন প্রচুর পান খায়। জেলায় কতো দোকান আছে আমার জানা নেই। প্রতিটি পাড়ায়, শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে পানের দোকান চলছে। একটি পান পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। ভাল এক বিরা পান দুইশত টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

নিয়মিত পান ক্রেতা মো. জানে আলম (৫১) বলেন, প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ তিনি পান খান। একবিরা পান ক্রয় করেন দুইশত টাকা দিয়ে। দোকান থেকেও নিয়মিত পান কিনে খান প্রতিটি পাঁচ টাকা করে। তিনি আরো বলেন প্রতিদিন প্রায় ত্রিশটি পান খেয়ে থাকেন তিনি। তার বাবাও প্রচুর পান খেতেন।   জেলা কৃষি কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ সাহ্জাহান আলী বিশ্বাস বলেন, জেলায় এগার হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। জেলার হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় এসব পান চাষ হয়ে থাকে। বাজারে ভাল দাম থাকায় পানচাষীরা লাভবান হচ্ছে।  

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর