ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

করলার নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন
দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্বল্পকালীন সময়ে অধিক উৎপাদনে এবং কৃষকদের লাভবান করতে করলার উন্নত নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের একটি গবেষক দল।  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের পিএইচডি গবেষক ফররুখ আহমেদের গবেষণায় এবং প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান ও প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে করলার দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়। জাত দুটির নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে 'HSTU-1' ও 'HSTU-2'। 

এ ব্যাপারে হাবিপ্রবির কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান জানান, এটি খরিপ মওসুমের ফসল। উন্নত জাত দুটির একটি করলা ১৯০ গ্রাম থেকে ২৬০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়। এটির একর প্রতি ফলন ১১ থেকে ১১.২০ টন পাওয়া যাবে। এটি ৪১ দিনের পর থেকেই গাছের ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য জাতের করলার চেয়ে এ দুটি জাতে রোগবালাই কম হয়। তাই কৃষকের খরচও কমে যাবে। এ ছাড়াও এসব করলা পরিবহনের সময় এর মান-গুন নষ্ট হয়না। যা অন্য জাতের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সবদিক থেকে বিবেচনা করলে এই দুটি করলার জাত স্বল্পকালীন সময়ে অধিক উৎপাদন ও পরিবহনে কৃষকেরা ব্যাপক লাভবান হবেন। 

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটির সেমিনারে এই গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান, কো-সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আরিফুজ্জামান, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, পরীক্ষা কমিটির সদস্য ড. আবু তাহের মাসুদ, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ, অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর