ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চৌদ্দগ্রামে আদা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

আদা চাষে ভালো ফলন পেয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কৃষকরা। শুরুতে স্বল্প পরিসরে আদার চাষ করলেও ভবিষ্যতে বড় পরিসরে আদার চাষ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তারা। প্রাথমিক ভাবে চৌদ্দগ্রামে আদার চাষ করে সফল হয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক। অর্থকারী এই ফসল চাষের জন্য এই মাটি ও আবহাওয়া ও বেশ উপযোগী। মসলা জাতীয় ফসল আদা। কৃষি অধিদপ্তর আদা ও হলুদ চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। এই ফসল ছায়াযুক্ত জমিতে ভালো হয় তাই বাড়ির পাশে যেকোন ফল বাগানে চাইলেই আদা চাষ করা সম্ভব। 

চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুর ইউনিয়নের নারচর এলাকার কৃষক মো. মজিবুর রহমান মঞ্জু বাড়ির পাশে প্রায় এক শতক জমিতে আদার চাষে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এই মৈসুমে মঞ্জু প্রায় ২ লক্ষ টাকা মুনাফা পাবে বলে আশা করছেন। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রচুর পরিমান আদা আমদানী করা হয়। কিন্তু দেশে আদার চাষ বৃদ্ধি পেলে সরকারকে আদা আমদানী করতে হবে না। চৌদ্দগ্রামের  শ্রীপুর ইউনিয়নে চাষি মঞ্জু আদার চাষ করে ফলন ভালো পাওয়ায় এবছর অন্যান্য চাষিরাও এই ফসল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

কৃষক মঞ্জু জানায়, ফসল তোলার পর আবারো আদা চাষের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে। আদা চাষে বেশ ভালো মুনাফা পাওয়া যাবে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাসির উদ্দিন জানায়, চৌদ্দগ্রামে আদার আবাদ ততটা সফল না হলেও আদা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের কৃষক মঞ্জু আদা চাষ করে সফল হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নেও পারিবারিক পুষ্টি  প্রকল্পের  আওতায় বেশ কয়েকটি বাগানে আদার চাষ ভালো হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছি মসলা জাতীয় ফসল যেমন আদা এবং হলুদ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে। আদা ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয় তাই বাড়ির আশেপাশে যেকোন জায়গায় আদা চাষ করা সম্ভব। আমরা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর