ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্লুইস গেটে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার কৃষক
তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমি
দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকের কথা ভেবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বালিয়াকান্দির রতনদিয়া বালুরঘাট স্লুইস গেট নির্মাণ করে। নির্মাণের দুই বছর পর নষ্ট হয়ে যায় গেটের দুটি কপাট। পাঁচটির মধ্যে দুটি কপাট বন্ধ থাকায় দুই উপজেলার ৫০ হাজার কৃষকের কয়েক হাজার হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে। বালিয়াকান্দি উপজেলার রতনদিয়া বালুরঘাট স্লুইস গেট এলাকায় গতকাল গিয়ে দেখা যায়, হড়াই নদী থেকে ছোট আকৃতির নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের দুটি কপাট বন্ধ রয়েছে। অন্য তিনটি কপাট দিয়ে পানি প্রবাহ হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে দুই উপজেলার মাঠের পর মাঠ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। স্লুইস গেটটি প্রায় অকেজো থাকার কারণে পানি প্রবাহ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক জাফর আহম্মেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের দুই দিনের বৃষ্টিতে মাঠ তলিয়ে রয়েছে। মাঠের পানি খাল দিয়ে হড়াই নদীতে প্রবাহিত হয়ে ফরিদপুরের কুমার নদে যাওয়ার কথা ছিল। স্লুইস গেটের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের মাঠ তলিয়ে রয়েছে। কৃষক তাপস সরকার বলেন, নির্মাণের দুই বছর পরই স্লুইস গেট নষ্ট। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। প্রভাবশালীরা কৌশলে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ফায়দা লুটছেন। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, স্লুইস গেটের কারণে কৃষিসহ মাছচাষের পুকুরের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েক বছর ধরে স্লুইস গেট নষ্ট অথচ সমাধান করেনি কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিমল কুমার দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বলে আসছি, তারা শোনেনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, স্লুইস গেটের কারণে অনেক জমি তলিয়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলজিইডিকে জানিয়েছি।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর