নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে জমির ওপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ায় জমি তার উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রায় ১৫টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। সূত্র মতে, ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে মাটি। আর ফসলি জমির মাটি হলে ইট তৈরিতেও সুবিধা বেশি। ফলে কৃষকদের বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে সেইসব মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া মাটিতে যে জীবাণু থাকে এবং অনুজীবের কার্যাবলী আছে তা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দিনদিন ফসলি জমিতে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
শিমুলতলা গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, জমি উঁচু থাকায় সেখানে পানি উঠছে না। তাই মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার জানান, এভাবে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যেতে থাকলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। কারণ ফসলি জমির উপরের অংশে টপ সয়েল থাকে, সেগুলো ইটভাটায় চলে গেলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর ওই জমি থেকে ভালো ফলন আশা করা যাবে না। এতে করে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় পড়তে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল