ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কমলায় স্বপ্ন বুনছে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

সীমান্ত এলাকায় দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান করে লাভবান ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। বাগানের প্রতিটি গাছে ফলও ধরেছে প্রচুর। ভারতীয় জাতের এ ফল মিস্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে। উৎপাদিত বাগানের এসব ফল স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিবছর বাগানের পরিধি বাড়ায় কর্মসংস্থানের সৃস্টি হয়েছে অনেকের।  

বাগানের প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা। নভেম্বর মাস থেকে বাগানের উৎপাদিত কমলা বিক্রি করতে শুরু করেছে জেলার বাগান মালিকরা।

সীমান্তবর্তী উপজেলা পীরগঞ্জ মালঞ্চা গ্রামের জুয়েল নামে এক কৃষক দশ বছর আগে হর্টিকালচার থেকে হাতে গোনা কয়েকটি চারা ক্রয় করে জমিতে রোপন করে। দু বছরের মাথায় আশানুরুপ ফল হওয়ায় বাগানের পরিধি বাড়ায়।    

বর্তমানে তিনশতাধিক গাছের এই বাগানের প্রতিটিতে আট থেকে নয়শ কমলা ধরেছে। চলছে ফল বিক্রি কার্যক্রম। উৎপাদিত কমলা ক্রয়ে বাগানেই ছুটে আসছেন দূর দুরান্তের ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকেই প্রতি কেজি কমলা বিক্রি করছেন ১৫০-২০০ টাকা দরে। একই প্লটে উৎপাদন করছেন চারা। সীমান্ত এলাকায় ফল বাগান গড়ে উঠায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য কৃষকেরাও উদ্ভুদ্ধ হয়ে নিচ্ছেন পরামর্শ।          

বাগান মালিক আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল বলেন, কমলা বাগান করে এবার লাভবান হওয়ার আশা করছি। আমার দেখে আসে পাশের অনেকে কমলা বাগান করতে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত খোজখবর রাখছেন উনারা।

ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রাজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, সফল উদ্যোগতা জুয়েলের বাগান থেকেই এবার দশ হাজার মেট্রিকটন কমলা উৎপাদন হবে। নতুন নতুন ফল বাগান করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে মালটা ও কমলার বাগান রয়েছে এক হাজার বত্রিশটি। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলার পীরগঞ্জ ও হরিপুরে ভারতীয় দার্জিলিং জাতের সাতটি কমলা বাগান গড়ে উঠেছে।  

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর