ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রিতে হতাশ কৃষক
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভেজাল সার ও কীটনাশক ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এ উপজেলার কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকেই জমিতে এ ভেজাল সার প্রয়োগ করে কোন ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় এখন অনেক চাষি।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ ভেজাল সারে ফসলের কাজ উন্নতি না হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সেই সাথে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করলেও কমছেনা এর বিস্তার। উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম (৬০) জানান, থানাহাট বাজারের দোকান থেকে থেকে সার কিনে আমার ইরি-বোরোর জমিতে দিয়েছি। কিন্তু সার প্রয়োগের ১০ দিন পার হলেও সারের প্রতিক্রিয়া আবাদে কোনো ফেলেনি। জমিতে ফসলের কোন প্রকার উন্নতি হয়নি।

একইভাবে বালাবাড়ীহাট এলাকার কৃষক আবু সাইদ জানান, থানাহাট বাজার থেকে কীটনাশক ওষুধ ক্রয় করে আমি সম্প্রতি আমার জমিতে দেই। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। চিলমারী উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম বাবু জানান, সার ও কীটনাশক দোকানগুলোতে কৃষি বিভাগের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল সার ও কীটনাশক ওষুধ দেদারছে বিক্রি করছেন। যদি দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার ও কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবেন।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রনয় বিষান দাস জানান, অনেক কৃষক সার ও ওষুধ প্রয়োগ করে কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় কৃষি বিভাগে অভিযোগ করেছেন। এর ফলে গত মাসের শেষের দিকে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এতে থানাহাট বাজারের এক দোকান থেকে নকল সার, ভিটামিনের প্যাকেট জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। অবশ্যই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ অভিযুক্ত সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর