ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

লোকসানের পরেও সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন চাষে ঝুঁকেছেন দিনাজপুরের কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি দাম। বরং বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত বছরে রসুনের মূল্য বঞ্চিত হলেও এবছর এই অঞ্চলের কৃষকরাই রসুন চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

তবে গত বছর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কমেছে রসুনের চাষ। এরপরেও সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রসুনের ভাল ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। ফলে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রসুন চাষে। 

সরেজমিন দেখা যায়, খানসামার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন বেশি চাষ করা হয়েছে। কেউবা রসুনে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন আবার কেউবা যত্ন নিচ্ছেন।

খানসামার ভাবকি ইউপির গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম জানান, এবছর ৫ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। বিঘা প্রতি বীজ, সার-কীটনাশক ও সেচ বাবদ খরচ ২৪ হাজার টাকা এবং বপন ও নিড়ানিসহ শ্রমিক খরচ ১২ হাজার টাকা। এতে বিঘা প্রতি মোট ৩০-৩৫ হাজার টাকা ব্যয়। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২৫-৩০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতিমণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা দর হলে দাম পাওয়া যাবে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

একই এলাকার বাবুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে ৩ বিঘা জমি বর্গা (লীজ) নিয়ে রসুন আবাদ করেছেন। চাষে খরচ বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। উপায় না পেয়ে এনজিও থেকে টাকা তুলে রসুনের আবাদ করেছেন। এবার ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেলে ঋণের টাকা দিতে পথে বসতে হবে।

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বাজারে দাম ভাল না থাকায় এবছর কমেছে রসুন চাষ। তবে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর হেক্টর প্রতি ১০ মেট্রিক টনের বেশি ফলনের আশা। এছাড়াও উন্নতজাতের বারি রসুন-১ ও বারি রসুন-৩ চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে আশা করছি। চলতি মৌসুমে খানসামায় ২৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে, যা গত বছরে ছিল ৩৭৫০ হেক্টর।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর