ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ক্ষেতের জন্য ভিটামিনের ওষধ কিনে বালি পেলেন কৃষক!
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

আবাদি জমিতে দেওয়ার জন্য ভিটামিনের ওষুধ কিনে বালি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এক কৃষক। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ওয়াসিফ রহমান শুক্রবার রাতে উপজেলার সুতিয়ারপাড় বাজারের খুচরা বিক্রেতার সার ও কীটনাশকের সকল মালামাল জব্দ করেন। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাকরকান্দী ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় বাজারে মো. রুবেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করে আসছেন। গত বুধবার চান্দের নন্নী গ্রামের কৃষক মো. ওয়াজেদ আলী নিজের আবাদি জমিতে দেওয়ার জন্য রুবেলের দোকান থেকে রোটুন প্লাস নামে একটি ভিটামিনের প্যাকেট কিনে নিয়ে যান। পরে জমিতে দেওয়ার জন্য ওই রোটুন প্লাস পাউডারের মত পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে মেশিনে ভরার সময় দেখেন পানির নিচে শুধু বালি জমে আছে। শুক্রবার সন্ধার পর ওই কৃষক দোকানে এসে অভিযোগ জানালে সে উল্টো চ্যালেঞ্জ করে। দোকানে থাকা একটি পেকেট থেকে ভিটামিন বের করে পানির সাথে মেশালে সেখানেও পানির নিচে বালি পাওয়া যায়। বিষয়টি পরে সাংবাদিক সহ উপজেলা কৃষি অফিসারকে জানালে রাত সাড়ে নয়টার সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ওয়াসিক রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার সত্যতা পায় এবং দোকানের সকল কীটনাশক জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসেন।

সরেজমিনে রাত সাড়ে নয়টায় নতুন একটি প্যাকেট খুলে উপস্থিত সকলের সামনে পানির সাথে মেশানো হয়। কিছুক্ষণ পর পানির নিচে শুধু বালি পাওয়া যায়।

কৃষক মো.ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি শুধু একা নই, এই এলাকার আরো অনেক কৃষক এইভাবে ঠকছে। আমি চাই ঠকবাজদের কঠিন শাস্তি হোক।   বিক্রেতা মো. রুবেল মিয়া বলেন, আমি চেল্লাখালী বাজারের আবু তালেবের কাছ এই প্যাকেট কিনে এখানে বিক্রি করি। ভিতরে বালু রয়েছে আমি জানলে ওর কাছ থেকে এগুলা আনতাম না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ওয়াসিফ রহমান বলেন, আমি রাত সাড়ে নয়টার সময় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সকল মালামাল জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসি। সকল কটিনাশক পরীক্ষা করা হবে। প্রমাণিত হলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর