ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাহাড়ে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে বাম্পার ফল হয়েছে মিষ্টি আলুর। এরই মধ্যে সয়লাব হয়েছে পাহড়ি অঞ্চলের হাট-বাজার। দেখতে আকর্ষণীয়। খেতেও মজাদার। তাই চাহিদা বেশি। দামও মিলছে ক্রেতা সাধারণের স্বাধ্যের মধ্যে। কৃষকরা বলছেন, জুম পাহাড়ের পাশপাশি সমতল ভূমিতেও করা যায় এ আলুর চাষ। তাই অতিরিক্ত কষ্ট হয় না এ আলু চাষে।

  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা অর্থাৎ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের খুবই প্রিয় খাদ্য মিষ্টি আলু। অন্যান্য আলুর মতোই মাটির নিচে হয়ে থাকে এ আলু। মিষ্টি বলে রান্না করতে হয় না। সেদ্ধ বা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এ আলু। এ আলুর রঙ গোলাপি। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাদাও হয়ে যাকে। শুধু আলু নয়, মিষ্টি আলুর পাতাও শাক হিসেবে খায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা।

গবেষকরা বলছেন, মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়। যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চিনি কাজের শক্তি প্রদান করে ক্লান্তি দূর করে। মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকলেও তা খুব ধীরে ধীরে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এতে শরীরে শক্তির পাশাপাশি ভারসাম্যও রক্ষা করে। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলা সদর, কাউখালী, বাঘাইছড়ি, বরকলম বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী ও জুরাছড়ি উপজেলায় ব্যাপক চাষাবাদ হয়ে থাকে এ মিষ্টি আলু। অনেকেই তামাক চাষের পরির্বতে মিষ্টি আলুর চাসাবাদ শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় কাউখালীর বগাপাড়া গ্রামের কৃষানী তাপসী চাকমা সাথে। তিনি বলেন, আখের পাশাপশি সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। ফলন হয়েছে ব্যাপক। চাহিদা আছে তাই বেচা-বিক্রিও হচ্ছে। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে এ আলু বাজারজাত হচ্ছে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। 

শহরের বনরূপা বাজারে আলু বিক্রি করতে আসা মিনতি চাকমাও জানালেন একই কথা। আলু চাষ করতে বাড়তি কষ্ট করতে হয় না। মিষ্টি কুমড়া, ভুট্ট কিংবা আখের বাগানে চাষ করা যায় মিষ্টি আলু। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের খুব প্রিয়। তাই চাহিদা বেশি। লাভও বেশি। এবার মিষ্টি আলু বিক্রি করে লাখ টাকা আয় হয়েছে তার বলে জানিয়েছেন।   রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, পার্বত্যাঞ্চলের চাষিদের তামাক থেকে বিরত রাখতে কৃষিতে আগ্রহ বাড়াতে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি কর্মকর্তারা। শুধু মিষ্টি আলু নয়, সব ধরণের সবজি চাষে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি পরার্মশ। 

মিষ্টি আলু পাহাড়ে বেশ জনপ্রিয়। কারণ এতে আছে পুষ্টি উপকরণ। একটি আলুতে আছে ১০০ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ২২ গ্রাম শ্বেতসার, ৩ গ্রাম আঁশ ও ০ গ্রাম চর্বি। এছাড়া একটি মিষ্টি আলু থেকে প্রতিদিনের চাহিদা ২৬০ ভাগ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর