ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে জাপানি মিষ্টি আলুতে দ্বিগুণ ফলন, চাষে আগ্রহ
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং লাভজনক ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’ জাতের জাপানের মিষ্টি আলুর পরীক্ষামূলক চাষেই দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে দ্বিগুণ হওয়ায় চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে খানসামা উপজেলার ৬ ইউপির ২০ জন কৃষক ২০ শতক করে জমিতে চাষ করেছে এই জাতের আলু। আর এতে দিনাজপুরের খানসামায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভিন্নতা, চাহিদা ও পুষ্টিমান বিবেচনায় রেখে চলতি মৌসুমে পরীক্ষাম‚লকভাবে চাষ করা হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ জাপানী কাটিং, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যা বাবদ সহায়তা প্রদান করে ২০ জন কৃষকের ২০ শতক করে জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। সাধারণত দেশি জাতের মিষ্টি আলু শতক প্রতি ১-১.৫ মন ফলন হলেও জাপানি জাতের নতুন আলুর ফলন হবে শতক প্রতি ৩-৪ মন।

হোসেনপুর গ্রামের মিষ্টিআলু চাষি খোদেজা বেগম ও আলতাফুর রহমান জানান, যৌথভাবে প্রথমবারের মত জাপানি জাতের এ মিষ্টিআলু চাষ করেছি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় যৌথভাবে ৪০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছি। দেশি আলুর চেয়ে ফলন পেয়েছি প্রায় দ্বিগুণ। আকর্ষণীয় রঙ হওয়ার কারণে এই জাতের আলুর চাহিদাও অনেক বেশি। আগামী মৌসুমে ১ একর জমিতে এ জাতের আলু চাষ করবো বলে আশা করি। একই এলাকার হাফিজুল ইসলাম বলেন, এবার ২০ শতক জমিতে চাষ করেন জাপানি জাতের মিষ্টি আলু। উচ্চ ফলনশীল এই জাতের আলু চাষ করা দেখে অন্য কৃষকরাও আগামী মৌসুমে এই জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি জানান, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খানসামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। এই আলুর ফলন অনেক বেশি ও অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এ কারণে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় আগামী মৌসুমে এই জাতের আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে জানান তিনি।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, চলতি মৌসুমে জাপানি নতুন জাতের আলুর চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাপানি এ মিষ্টি আলুর আবাদ করে কৃষকরা খুশি। কৃষক প্রতি এ মিষ্টি আলু চাষ করে খরচ বাদে ৩০-৩৫ হাজার টাকা করে লাভ করতে পারবে। আগামী মৌসুমে আরও অধিক জমিতে এই জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে উপজেলায় মিষ্টি আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। কৃষি বিভাগ থেকে স্থানীয় চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর