ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্বল্প খরচে ভালো দাম পাওয়ায় কলা চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন চাষিরা
দিনাজপুর প্রতিনিধি

অল্প খরচে ভালো ফলন, আবার দামও বেশি পাওয়ায় কলা চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন অনেক চাষী। এতে কলা চাষে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের বিরামপুরের চাষিরা। এতে গত মৌসুমের চেয়ে এবার কলা চাষ বেড়েছে। ফলে বিরামপুরে গত বছর ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও এবার কলা চাষ হচ্ছে ১৬ হেক্টর জমিতে। 

বিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, জমি ক্ষেত ছাড়াও বাড়ির আশপাশ, ডোবা, নালা, জমির আইলে বিভিন্ন জাতের সবরি কলা, চিনি চাম্পা কলা, বিচি কলা ও সাগর কলার চাষ হচ্ছে। গত জুনের শুরুতেই কলা চাষিরা জমিতে গোবর, ইউরিয়া, পটাশ, ফসফেট সার মিশিয়ে জমি তৈরি করছেন। তাতে তিন হাত ফাঁকা ফাঁকা করে কলার চারা লাগিয়েছেন। ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে কলার মোচা এসেছে। বর্তমানে প্রায় গাছের কলা বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে উঠেছে। আবার কোন গাছের কলা বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। 

চাষিরা জানায়, এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিঘাতে প্রায় ৩৬০ থেকে ৩৮০টি গাছ লাগানো যায় এবং প্রতিটি গাছে কলার ছড়া ধরে। কলাচাষি বড় ছড়া বিক্রি করছেন বর্তমান সাড়ে ৪০০ টাকা দরে। মাজারি ছড়া সাড়ে ৩০০ টাকা এবং ছোট ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে একজন বাগান মালিক কলা বিক্রি করছেন প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রথম চালান কলা কাটার পর গাছটি কেটে ফেলেন। সেই কাটা গাছের গোড়া থেকে আবারও কুশি বের হয়ে থাকে। সেই কুশি থেকে আবার দ্বিতীয় চালান কলা ধরে। এভাবে একজন কলাচাষি বাগান থেকে দু'বার কলা বাজারজাত করেন। তবে দ্বিতীয়বারে কলার আকার অনেকটা ছোট আকৃতির হয়।

হাবিবপুর গ্রামের কলাচাষি তফিজ উদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে কলার বাগান করেছি। এটা আমার নতুন বাগান। প্রতিটি গাছে কলা ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে কলা কাটতে শুরু করেছি। বড় ছড়াগুলো সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি এবং মাঝারি ছড়াগুলো ৪০০ এবং ছোট ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, কলার দাম ভালো পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার কলার বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার ১২ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছিল। এবার ১৬ হেক্টর জমিতে কলার বাগান হয়েছে। চলতি কলার মৌসুমে কলাতে তেমন কোনো রোগবালাই নেই। প্রতিটি কলার বাগান পরিদর্শন ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 



এই পাতার আরো খবর