ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নীলফামারীতে জমজমাট মরিচের হাট
আবদুল বারী, নীলফামারী

 নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা গ্রামে পাগলীমার হাট নামক স্থানে গড়ে উঠেছে জমজমাট মরিচের হাট। এই হাটে  বিন্দু, সাপ্লাই, ডেমা,  ডেমা হাইব্রিড, জিরা, আকাশিসহ দেশি জাতের বিভিন্ন মরিচ বিক্রি করা হয়। যা বছরে প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এবং প্রতিদিন প্রচুর মরিচ বেচা-কেনা হয়। এই স্থানটি অনেকের কাছে মুসার মোড় নামেও পরিচিত। হাটটিতে উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মরিচ বেচাকেনা হয়।

মরিচের মৌসুমে প্রত্যহ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে চলে মরিচ কেনাবেচা। ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মরিচ নিয়ে যান। হাটে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মণ মরিচ বেচাকেনা হয়।

এই মরিচের হাটকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে একদিকে যেমন বেড়েছে মরিচের চাষ, তেমনি বেড়েছে মরিচ ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ছাড়াও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শতশত চাষিরা মরিচ বিক্রি করতে এই হাটে আসেন।

হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এতে এ পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হতে ৩২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় একলক্ষ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পেরেছি।

মরিচ চাষী আফজাল হোসেন জানান, এই হাটে মরিচের চাহিদা অনেক। এবারে মরিচের ভালো ফলনের সাথে দামও ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে এই অঞ্চলের মানুষের কাছে মরিচ প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি করে মরিচ চাষ করার প্রত্যাশা করছি।

কুষ্টিয়া থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ী মজিবর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এটি উত্তরাঞ্চলের বিখ্যাত মরিচের হাট। কয়েক বছর ধরে আমি এই হাট থেকে মরিচ কিনছি। এখান থেকে বিভিন্ন জাতের মরিচ কিনে নিয়ে যাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলায় এবার মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি আবাদ  হয়েছে। জেলার সবচেয়ে বেশি মরিচের আবাদ হয়েছে ডোমার উপজেলায়।

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান জানান, এবারে সাড়ে ৭শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় কৃষকেরা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছে। বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করে লাভবান হয়েছেন এ উপজেলার  কৃষকেরা।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর