ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বাগান ছেয়ে গেছে লিচুর সবুজ গুটিতে
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিচুর গুটির সবুজের সমারোহ। কোনো কোনো গাছে মুকুল থাকলেও বেশিরভাগ গাছেই ফলন এসে গেছে। চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধ। ফলন দেখে লিচু চাষী এবং যারা বাগান কিনেছেন তারাও খুশি। এখন দিনাজপুরের বিভিন্ন বাগান ছাড়াও প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনায় লিচু গাছে থোকায় থোকায় লিচুর গুটি ঝুলছে। অন্যদিকে চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত।

তবে গত মওসুমে করোনার কারণে বাজারজাতকরণ নিয়ে চিন্তা থাকলেও এবার লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। দেশ সেরা দিনাজপুরের লিচু মানে মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে ডালপালা। রমজান শেষে ঈদের পরই বাজারে মাদ্রাজি লিচু পাওয়া যাবে। এবার লিচুর ভাল দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন লিচু চাষীরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, এবার লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হবে। তবে বেসরকারি হিসাবে লিচু উৎপাদন হবে এর চারগুণ বেশি। যার মূল্য হাজার কোটি টাকা হতে পারে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচু চাষি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দিনাজপুরে লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। দিনাজপুরে ব্যাপক লিচু গাছে মুকুল এসেছিল। আবহাওয়ার কারণে এবার মুকুল বেশি, ফলনও ভাল হবে। এবার মাদ্রাজি লিচুর গুটি কম হয়েছে। তবে দাম ভাল পাওয়া যাবে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ বালাই থেকে মুক্ত করতে চাষিরা লিচু গাছে বালাইনাষক ছিটাচ্ছেন। অনেকে লিচু গাছের আগাছা মুক্ত করছেন।

পুলহাট-মাসিমপুরের আসাদুজ্জামান লিটন জানান, দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালী ও মাসিমপুরসহ আশেপাশে কিছু এলাকায় ভিটা, জমি, বসতবাড়ি এবং ডাঙ্গা জমিতে লাগানো গাছেই লিচু আবাদ ছিল সীমিত। কিন্তু এখন এর বিস্তৃতি ব্যাপক।

বিরলের সফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। এখন লিচুর গুটি এসেছে।এক মাসের মধ্যে পাকা টসটসে লিচু বাজারে উঠবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, দিনাজপুর জেলায় ৫৪৮১ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় নিয়ে প্রায় আড়াই হাজার লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার গাছ রয়েছে। বাগান ছাড়াও কিছু সংখ্যক বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমিতে ২/৪টি করে লিচু গাছ রয়েছে। এবার লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা 



এই পাতার আরো খবর