পাতাশূন্য থাকলেও গাছে গাছে ঝুলছে পুষ্টিগুণে ভরপুর সজিনা। পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতীয় সবজি এ সজিনা চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলে থাকা সবুজ লাঠি প্রকৃতিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আশঁ জাতীয় সবজি সজিনার ভারে ন্যুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে পুষ্টির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সজিনার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি সজিনার মূল্য ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উচ্চমূল্য পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে সজিনা চাষে উদ্ধুদ্ধ এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও। মৌসুম শেষে প্রতিবারের মতো এবারও ডাল রোপণ করা হবে বলে জানায় কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বাড়িতেই তিন-চারটি করে সজিনা গাছসহ জমির ধারে, রাস্তার পাশেও সজিনাগাছ লাগানো হয়েছে। এবছরে সজিনার লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা পেরিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলায় সজিনা চাষ বেড়েছে। সজিনা কিছু জাত বার মাসে পাওয়া যায়। এখানকার সজিনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউপি এলাকার সজনা চাষি মো. শাকিল হোসেন বলেন, বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে সজিনা গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর ওইগাছ থেকে অনেক টাকার সজিনা বিক্রি করেছি। আশা করছি এবারও সজিনার বাম্পার ফলন পাব।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আঁশজাতীয় সবজি সজিনাকে বলা হয় ‘মিরাকল ট্রি’। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল সবই খাওয়া যায়। সজিনা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তিনি আরো বলেন, এটি বাড়ির পাশে অনাবাদি ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। তাছাড়া ঠান্ডা-গরম, খরা সহিষ্ণু হলেও এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি বছরে সজিনার ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়া সজিনা গাছের তেমন কোন রোগবালাই নেই বললেই চলে এবং অন্যান্য খরচও নেই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল