ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাঁশ রপ্তানিতে এগিয়ে পার্বত্যাঞ্চল, লাভবান হচ্ছেন কৃষক
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবিকার আরেক নাম বাঁশ। পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি বাঁশ উৎপাদন করেও চলে অনেকের সংসার। কারণ অর্থনৈতিকভাবে পাহাড়ের বাঁশ রপ্তানি হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কৃষকরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এ বাঁশ চাষ সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের বসবাস ছিল বাঁশের তৈরি মাচাং ঘরে। কিন্তু কালের পরির্বতনে এখন ইট পাথরের দালান কোঠা গড়ে উঠলেও বাঁশের চাহিদা এখনো রয়েছে ঠিক আগের মত। এখনো পাহাড়ের হরেক রকম বাঁশ অর্থনৈতিকভাবে রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। শুধু কলকারখানায় নয় এ বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্প হিসেবে। তাই তো এখনো পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বেশির ভাগই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনও জীবিকা চলে বাঁশ বিক্রি করে। পাহাড়ে এসব বাঁশ শুধু ঘর কিংবা ঘরে তৈজসপত্র তৈরিতে নয়, বাঁশ কোড়ল  (পাহাড়ি ভাষায় বাচ্চুরি)  অর্থাৎ এক প্রকার সবজি হিসেবেও বিক্রি হয় এ বাঁশ। তাই জুম চাষের পাশাপাশি বাঁশ আবাদে আগ্রহি হচ্ছে কৃষকরা।

রাঙামাটি জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা প্রায় ২৫ হাজারেরও অধিক পরিবার এখনো বাঁশ চাষ করেই চলে। উপজেলার তালুকদার পাড়া, শামুকছড়ি, বর্মাছড়ি, উল্টাছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে এ বাঁশ বাগান। সপ্তাহে দু’দিন হাটে তোলা হয় এসব বাঁশ। রপ্তানি করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। 

রাঙামাটি কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজীউল হক জানান, রাঙামাটির পাহাড়ে মুলি বাঁশ, মিতিঙ্গা বাঁশ, ওরা বাঁশ, ভ্যাইজ্জা বাঁশ ও ডলু বাঁশ বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এসব বাঁশের চাহিদা ও লাভ অনেক। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের করা হচ্ছে সহযোগিতা। 

তবে চাষিরা বলছেন, পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশের উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষতার কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারচ্ছেন না বাঁশ চাষিরা। তাই পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের সহায়তা এখন জরুরি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর