ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাগানবিলাসের সমারোহ
আবদুল বারী, নীলফামারী

ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। ঋতুচক্রের আবর্তনের সাথে সাথে বদলে যায় এদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ। ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়ে ওঠে চারিদিক। কত রকমের ফুলই না ফোটে এখানে। বাগানবিলাস এর মধ্যে অন্যতম। এই ফুলটি গেট ফুল, কাগজ ফুল প্রভৃতি নামে নীলফামারীতে পরিচিত। গ্রামীণ জনপথের বাসাবাড়ির সামনে অথাৎ প্রবেশ দ্বারে দেখা যায়। বাগানবিলাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত। এটি তিনটি পত্র-মঞ্জরীর মাঝখানে ফুটন্ত ছোট এবং সমান্তরাল প্রকৃতির হয়। 

এগুলোর অধিকাংশই বহুবর্ষজীবী, কাণ্ড দুর্বল বিধায় নিজেই কিংবা আঁকশি, কাটা ইত্যাদি উপাঙ্গের সাহায্যে আশ্রয় জড়িয়ে উপরে ওঠে। এর বিস্তীর্ণ প্রসারণ, বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন পাতা ফুলের চারপাশে বিদ্যমান থাকে। এ প্রজাতির গাছগুলো ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে।এই ফুলটি গন্ধবিহীন। এটি বাগানবিলাস এবং কাগজ ফুল নামে পরিচিত। এ ফুলের পাতা ১ ইঞ্চি বা ততোধিক লম্বাকৃতির হয়। গাছটি দ্রুত বর্ধনশীল, পাতা সবুজ, অগ্রভাগ সূচালো এবং আকারে ছোট। এই ফুলটি প্রায় সব ঋতুতে ফুটতে দেখা যায়। বাগানবিলাসের পাপড়িগুলো বেগুনি, নীলচে, হলুদ, গোলাপি এবং গাঢ় লাল রঙের হয়ে থাকে। বাগানবিলাস ফুল গাছের দৃশ্যটি শহরের বাবু পাড়া ও নীলফামারী ডোমার সড়কের নটখানা এলাকায়  চোখে পড়ে।

নীলফামারী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম বলেন, এই ফুল মাটিতে তেমন জায়গা দখল করে না বলে ছোট বাগানেও বেশি সংখ্যায় লাগানো যায়। বিশেষ করে বাড়ির সামনের গেটে অথবা ছাদে দেখা যায়। এসব ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয় মানুষ, রঙিন প্রজাপতি। মৌমাছিরা মধু আহরণের জন্য ছুটে বেড়ায় ফুলের বাগানে। রূপলাবণ্য ভরা বনভূমিতে থরে থরে সাজানো ফুলগুলো যেন এক অপরূপ স্বর্গীয় আধার। এটি একটি পুষ্পধারী ঝোপজাতীয় গাছ। এর ফুল সারা বছরই হয়ে থাকে। তবে বর্ষা ও গ্রীষ্ম কালে সব থেকে বেশি ফুল ফোটে। শীতের পরে রোপণ করা এর উপযুক্ত সময়।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর