ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিশেহারা কৃষক, কৃষি অধিদপ্তরের ভিন্ন সুর
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

একদিকে খরার তাণ্ডব, অন্যদিকে  সার ও জ্বালানির দাম বেশি; সবমিলিয়ে দিশেহারা নেত্রকোনার কৃষকরা। ফলে এ বছর আমন আবাদে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় শংঙ্কা করছেন তারা। তীব্র রোদে জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়ায় কয়েক দফায় সেচ কাজ করতে হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে নেত্রকোনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৫ শত ৯৬ মেট্রিক টন।

 এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত পহেলা আগস্ট থেকে ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে। ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে ইউরিয়া সার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় চলতি আমন মওসুমে চাষাবাদ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে নেত্রকোনার কৃষকরা।

কৃষক রোমালি শেখ ও সুরেস দাসসহ অনেকেই বলেন, হঠাৎ করে সার ডিজেল ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকের বাড়তি খরচের ধকল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের দিন মজুরি বৃদ্ধিও একটি বড় সমস্যা। তার ওপর এবার খরা বেশি। এই অবস্থায় আবার এখন সার ডিজেল ও তেলের দাম বৃদ্ধি করা কৃষকের মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের দাবি একেবারে উল্টো। তিনি বলেন, ‘বোরো আবাদে বেশি সেচের প্রয়োজন হয়। এই রোপা আমনে একবার চারা রোপনের সময় বেশি পানি লাগে। পরবর্তীতে বেশি প্রয়োজন হয় না। তেমনি সারও অর্ধেক লাগে। কাজেই দাম বাড়ায় তেমন প্রভাব পড়বে না। এছাড়া বুধবার পর্যন্ত বুধবার পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলায় ৯৭ হাজার ৬ শত ৮০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর