ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সার সংকটে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ
নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ
বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

উত্তরের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁ জেলা। বৃষ্টিহীন বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও চলতি রোপা-আমন মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে, যা বিগত পঞ্চাশ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ সারের সরবরাহ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে জেলার হাজার হাজার আমন চাষী।

এছাড়া জ্বালানি তেল ও কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন মৌসুমে কৃষকদের লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এত সমস্যার পরও চালের উৎপাদন বৃদ্ধির আশায় জমি পরিত্যক্ত ফেলে না রেখে লাভের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে আমন ধান রোপণ করেছেন। বর্তমানে ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

রাণীনগর উপজেলার সাতানি গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি আট বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। এবার বৃষ্টি না থাকায় ও প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে সেচ দিয়ে জমি চাষ করেছেন। আবাদের শুরুতেই সারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দোকানে গিয়ে ধর্না দিয়েও প্রয়োজন মতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক ডিলারের দোকান ঘুরে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। জমিতে কাজ করবো না কি দিনের পর দিন ডিলার ও সারের পেছনে ঘুরব? এভাবে কি চাষাবাদ করা যায়! তার উপর আবার জ্বালানি তেলের দাম আকাশছোঁয়া। তাহলে আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা কোথায় যাবো? দিন যতই যাচ্ছে ততই ধান চাষসহ সকল আবাদ চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

একডালা গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দিন বলেন, সরকার যদি বিসিআইসি ডিলারের পাশাপাশি বিএডিসি ডিলারদের মাধ্যমে সকল সার খোলাবাজারে বিক্রি করতো তাহলে কৃষকদের অনেক সুবিধা হতো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুনজের বলেন, এবার অতিবৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা না থাকায় পরিত্যক্ত পড়ে থাকা খাল, বিল, গাড়িসহ সকল নিচু জমিতেও কৃষকরা আমন ধান চাষ করেছে। বৃষ্টির পানিতে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে যা ইউরিয়া সারের প্রয়োজন মিটায়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে ইউরিয়া সারেরও চাহিদা বেড়ে গেছে। কারণ ইউরিয়া সার ছাড়া ধান গাছ সতেজ হয় না। আর ইউরিয়া কম হলেই ধান গাছ হলুদ হবে আর ফলনে বিপর্যয় ঘটবে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর